Shrirampur: বিয়ের লজ, ক্যাটারিং সব বুক! কেনাকাটাও প্রায় শেষ, শ্রীরামপুর থেকে মিলল নিথর দেহ
Chandannagar: বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের গঙ্গার ঘাট থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। পাশাপাশি চন্দননগর থানায় একটি মামলা রুজু করে পুলিশ। ওই সোনার দোকানের মালিকের স্ত্রী মমতা দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক করে রাখা হয়েছে।

চন্দননগর: দু’দিন আগেই নিখোঁজ হয়ে যান যুবতী। চন্দননগরে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ। তারপর থেকেই চলছিল খোঁজ। শেষ পর্যন্ত ভাইফোঁটার দিন উদ্ধার হল যুবতীর দেহ। হুগলির শ্রীরামপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহ। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। দোকানের মালিকের স্ত্রী’কে আটক করেছে পুলিশ।
চন্দননগরের বউবাজার এলাকার বাসিন্দা মনামী ঘোষের বয়স ২৫ বছর। চন্দননগরের বাগবাজারে একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন তিনি। কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে মানসিক অবসাদে মনামি নদীতে ঝাঁপ দেন বলে অভিযোগ পরিবারের। গত মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ গঙ্গায় ঝাঁপ দেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই দিন চন্দননগর বাসস্ট্যান্ডে কিছুক্ষণ বসেছিলেন। তারপর একটি চিঠি লিখে, সেটি মোবাইল চাপা দিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। সাঁতার জানতেন না ওই যুবতী, ফলে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তলিয়ে যান।
তাঁর খোঁজে বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী নামে। স্পিড বোট ও ডুবুরিও নামানো হয় নদীতে। দু’দিন ধরে চলে তল্লাশি। অবশেষে আজ, বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের গঙ্গার ঘাট থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। পাশাপাশি চন্দননগর থানায় একটি মামলা রুজু করে পুলিশ। ওই সোনার দোকানের মালিকের স্ত্রী মমতা দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক করে রাখা হয়েছে।
যুবতীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, চন্দননগরের বউবাজার শীতলাতলার বাসিন্দা সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিয়ে আগে সম্পন্ন হয়েছে মনামীর। আগামী বছরের ২ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁর। তার জন্য লজ ভাড়া নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। ক্যাটারিং বুক করা, বিয়ের কেনাকাটাও প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। এমন একটি ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।
পরিবারের অভিযোগ, মনামী যে দোকানে কাজ করতেন, সেখানে তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়। তার জেরেই এভাবে আত্মঘাতী হলেন ওই যুবতী! পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দোষীদের শাস্তি চাইছে পরিবার।
