হাওড়া: ট্রেন স্টেশনে দাঁড়ানোর পর সকল যাত্রী নেমে গিয়েছিলেন। ট্রেন কিছুক্ষণ স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার পর রেল ইয়ার্ডে চলে যায়। তখন ট্রেন পরিষ্কার করতে উঠেছিলেন। আপার বার্থের চাদর টানতেই শিউরে ওঠেন তাঁরা। চাদরে পেঁচানো রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ। রক্ত চুইয়ে বেরোচ্ছে সেখান থেকে। ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসে প্রৌঢ়ের রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি পেশায় তবলা বাদক। তিনি বালির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালির বাসিন্দা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় গত ১৯ তারিখে রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ ট্রেনে ওঠেন। স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে শেষ কথা হয়। ২০ তারিখ সকাল ৭:১৫ নাগাদ হাওড়া স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রী নামিয়ে যখন রেল ইয়ার্ডে গেলে দেখা যায় কামরার ওপরের বার্থে ওই যাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়।
জিআরপি ও আরপিএফ আধিকারিকদের অনুমান এটা খুনের ঘটনা। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরু করেছে হাওড়া জিআরপি। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১২ বছর কাটিহার রামকৃষ্ণ মিশনের তবলার শিক্ষক ছিলেন। সৌমিত্র বিশেষভাবে সক্ষম ছিলেন। ট্রেন থেকেই সৌমিত্রর যাবতীয় নথিপত্র সহ নগদ ১০ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল খোওয়া যায়। পরিবারের তরফ থেকে সঠিক তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি করা হয়।