Suicide: বাবা কেন মোবাইল নেবে? অভিমানে নিজেকে শেষই করে দিল ডোমজুড়ের ১৭ বছরের কিশোরী
Suicide: পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, এদিন ওই কিশোরীর মোবাইল নিয়ে বাড়ির পাশে খেলা দেখতে গিয়েছিল বাবা। আর তখনই নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয় ওই কিশোরী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের সদস্যরাই তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে যায়।
হাওড়া: মোবাইলে আসক্তি বাড়ছে যুব সমাজের। মোবাইলের নেশায় বুঁদ দেশের সিংহভাগ কিশোর-কিশোরী। পড়াশোনার প্রয়োজনে মোবাইল-ইন্টারনেটের চাহিদা বাড়লেও বিপথগামী হওয়ার প্রবণতাও কম নয়। কখনও মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য বায়না, আবার কখনও মোবাইলে আসক্তি নিয়ে বাড়িতে ঝামেলার জেরে আত্মহত্যা, বিগত কয়েক বছরে এই ধরনের ঘটনা অনেকটাই বেড়েছে গোটা বাংলাতেই। এবার হাওড়া থেকে আসছে একই ধরনের একটি ঘটনার খবর।
মোবাইল না দেওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী ১৭ বছরের কিশোরী। ঘটনা হাওড়ার ডোমজুড় দক্ষিণ ঝাপরদহ গড়বাগান এলাকায়। এখানেই বাড়ি ওই কিশোরীর। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, মাধ্যমিকে ফেল করার পর আর পড়াশোনার রাস্তায় হাঁটেনি ওই কিশোরী। বাড়িতেই থাকত। মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করত দীর্ঘ সময়। কিন্তু, এদিন বাবা কিছু সময়ের জন্য মোবাইলটা নিয়ে যেতেই যে সে এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে তা ভাবতে পারছেন না কেউ। এদিন নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোরী।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, এদিন ওই কিশোরীর মোবাইল নিয়ে বাড়ির পাশে খেলা দেখতে গিয়েছিল বাবা। আর তখনই নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয় ওই কিশোরী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের সদস্যরাই তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে যায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্যও পাঠানো হয়েছে। পরিবারে শোকের ছায়া।