
গড়চুমুক: আচমকা হোটেলের সামনে এসে দাঁড়াল ১০-১২টি গাড়ি। তা থেকে নেমে এলেন জনা পঞ্চাশেক লোক। হোটেলে ঢুকে মালিককে মারধর শুরু করলেন। তারপরই হোটেল মালিককে অপহরণের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি হাওড়ার গড়চুমুকের। ঘটনার তদন্তে নেমে থ পুলিশ। ওই হোটেল ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তাঁর সৎ মা ও সৎ বোনের বিরুদ্ধে। পুলিশ ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গড়চুমুক এলাকায় মদন কাঁড়ার নামে এক ব্যবসায়ী দুটি বিয়ে করেছিলেন। প্রথম পক্ষের সন্তানদের সঙ্গে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানের দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছে। মদন কাঁড়ারের প্রথম পক্ষের চার মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। আর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর একটি কন্যা রয়েছে। মদন কাঁড়ারের মৃত্যুর পর গড়চুমুক এলাকায় তাঁর হোটেলটি দেখাশোনা করেন প্রথম পক্ষের পুত্র প্রসেনজিৎ কাঁড়ার। আর ওই হোটেল নিয়ে প্রসেনজিৎ কাঁড়ারের সঙ্গে তাঁর সৎ মা ও সৎ বোনের দীর্ঘদিন বিবাদ চলছে।
প্রসেনজিৎ কাঁড়ারের অভিযোগ, গতকাল রাতে তাঁর সৎ মা ও সৎ বোন জনা পঞ্চাশেক লোক নিয়ে হোটেলে হানা দেয়। তাঁকে মারধর করে। অপহরণের চেষ্টা করে। হাওড়ার বেলেপোল এলাকার এক প্রোমোটারও এতে জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে গড়চুমুক ফাঁড়ির ওসি ও তাঁর টিম হোটেলে আসা গাড়িগুলি আটক করে। উদ্ধার করা হয় প্রসেনজিৎ কাঁড়ারকে।
ঘটনায় মোট ৫০ জনেরও বেশি মহিলা, ব্যক্তিকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রসেনজিৎ কাঁড়ারের সৎ মা, সৎ বোন ও ওই প্রোমোটার-সহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ তাঁদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ধৃত তরুণী বলেন, “আমাদের সম্পত্তিতে আমাদেরই ঢুকতে দিচ্ছে না। পুলিশ ইচ্ছে করে আমাদের নিয়ে যাচ্ছে।”
প্রসেনজিৎ কাঁড়ার
অন্যদিকে প্রসেনজিৎ বলেন, “বাবা মারা যাওয়ার পর হোটেলের দেখাশোনা আমিই করি। তারা দখল করতে চায়। আমাকে মারধর করে। গলায় ছুরি ধরে গাড়িতে তোলে। দিদি থানায় জানায়। তারপরই পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।” এদিকে, হোটেলে যে ১০-১২টি গাড়ি এসেছিল, সেগুলির চালকরা দাবি করছেন, তাঁদের অন্য কথা বলে এখানে আনা হয়েছিল। আবার ওই প্রোমোটারের সঙ্গে আসা একাধিক মহিলা দাবি করলেন, তাঁদের মিটিংয়ের কথা বলে আনা হয়েছিল। এখানে আসার পর ৫০০ টাকা করে দেওয়ারও কথা বলা হয়। তবে তাঁরা গাড়ি থেকে নামেননি বলে দাবি করলেন।