হাওড়া: দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গার ঘাট থেকে একাধিক লঞ্চ ছাড়ে সারাদিনে। ভোর ৬ টা থেকে শুরু করে প্রায় রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে একের পর এক লঞ্চ। যাতায়াত করেন বহু যাত্রী। আর সেই নদীর বুকেই দেখা গেল ভয়ঙ্কর দৃশ্য। বৃহস্পতিবার থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, যাত্রীসহ একটি লঞ্চ মাঝনদীতে ঢেউয়ের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। যাত্রীদের চিৎকারের শব্দও শোনা যাচ্ছে ভিডিয়োতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, যে গত বুধবার দুপুরের ঘটনা এটি। দক্ষিণেশ্বর থেকে বেলুড় মঠের লালগোলা ঘাটের দিকে যাচ্ছিল লঞ্চটি। যাত্রীবাহী ওই লঞ্চ গঙ্গাবক্ষে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের মুখে পড়ে। জোয়ারের সময় বিপরীতমুখে এগিয়ে যাচ্ছিল ওই লঞ্চ, তার জন্যই উথাল-পাতাল ঢেউয়ের মাঝে পড়ে যেতে হয় যাত্রীদের। লঞ্চ প্রায় ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
ঘটনার আকস্মিকতায় রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায় লঞ্চে। কয়েকজন যাত্রী বমিও করে ফেলেন। যাত্রীরা হাতজোড় করে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে শুরু করেন। এইভাবে প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ চলে। তারপর লঞ্চ গিয়ে থামে বেলুড় মঠের পাশে লালগোলা ঘাটে। কোনওমতে বেঁচে যাওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন যাত্রীরা। কয়েকজন সামান্য অসুস্থ হয়ে পড়লেও বড় কোনও বিপদ ঘটেনি।
কিন্তু এই ঘটনায় উঠছে অনেকগুলো প্রশ্ন। কেন আগে থেকে জানা সত্ত্বেও ওই সময় লঞ্চ ছাড়া হল? সরকারি নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও তা মেনে লাইভ সেভিং জ্যাকেট কেন পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা হল না? যাঁরা লঞ্চ চালান, তাঁরা বলছেন, যাত্রীরাই ওই লাইফ জ্যাকেট পরতে চান না।