হাওড়া: তোলাবাজির অভিযোগ ডুমুরজলায়। এক চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মন্ত্রী অরূপ রায়। অভিযোগ, বহিরাগত কিছু মদ্যপ যুবক রাস্তায় চরম অসভ্যতামো করছিল। তারাই হামলা চালায়। অভিযোগ, ডুমুরজলায় গাড়ি থামিয়ে টাকা তুলছিল ওই যুবকরা। ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের পাশে সরকারি জায়গায় মন্দির তৈরির নাম করে পথচলতি মানুষের কাছে তোলাবাজি ও তাঁদের মারধর করার অভিযোগ উঠল। টাকা না দিতে চাওয়ায় মার খেতে হয় এক চিকিৎসককে। গায়ে হাত তোলা হয় মহিলারও।
ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, তাঁকে ঘিরে রাখে মদ্যপ প্রায় ১৫-২০ জন যুবক। কোনওক্রমে ওই চিকিৎসক চ্যাটার্জিহাট থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রকাশ্যে এমন ঘটনা ঘটল কী করে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাতেই চ্যাটার্জিহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই চিকিৎসক-সহ বেশ কয়েকজন আক্রান্ত। এদিন রাতেই পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। এলাকার এক যুবক এই ঘটনায় পুলিশের স্ক্যানারে।
হাওড়ার সন্ধ্যা বাজারের বাসিন্দা ওই চিকিৎসক জানান, রবিবার রাতে চেম্বার সেরে ফিরছিলেন। ডুমুরজলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন রিং রোডে নেমে একটি দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে এক বন্ধুও ছিল। তাঁকে বলে মন্দিরের জন্য ২ হাজার টাকা দিতে হবে।
চিকিৎসকের দাবি, তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, এমন অচেনা জায়গায় এত টাকা কেন তিনি দেবেন? প্রশ্ন করতেই মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় সোমবার বলেন, “আমি ঘটনার কথা শুনেছি। অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে বলেছি যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।”