
হাওড়া: সাত বছরের নাবালিকা মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ। খবর ছড়াতেই ক্ষেপে উঠল জনতা। চলল বিক্ষোভ, তাণ্ডব এবং ভাঙচুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে এল পুলিশ বাহিনী। নামানো হল র্যাফ। অন্যদিক, মূল অভিযুক্ত পলাতক। অবশ্য, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
হাওড়ার ডোমজুড় এলাকার অন্তর্গত রাঘবপুর। সেখানে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। সেই সূত্র ধরেই এলাকায় বেড়েছে অপরিচিত মুখের সংখ্যা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই রাস্তা তৈরির কাজে আসা এক শ্রমিক এলাকারই একটি নাবালিকা মেয়েকে প্রথমে শ্লীলতাহানি, তারপর তাকে একটি নির্মীয়মান বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। সোমবার সন্ধ্যায় এই অভিযোগ ঘিরেই দফায় দফায় চড়ে উত্তেজনা।
এদিন এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘রাত ৮টার সময় নাবালিকার কাকা আমাকে ফোন করেছিলেন। উনি আমাকে জানালেন, এমন একটা কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। শিশুটিকে শ্লীলতাহানি করেছেন, তারপর ধর্ষণ করেছেন। যে শ্রমিক এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, তার নামে একাধিক অভিযোগ। আজকেই তো এই ঘটনার আগে মদ খেয়ে গাড়ি উল্টেছে সে। তারপর ওই বাচ্চা মেয়েটার সঙ্গে এমন করল।’
পুলিশি তৎপরতা নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, ‘পরিবারের লোকজন থানায় ফোন করতে দ্বিধা দেখাচ্ছিল। কিন্তু আমরা এসে ফোন করেছিলাম। তারপরেও পুলিশ আসতে অনেক দেরি করেছে।’ আর যতক্ষণে পুলিশ এসেছে, ততক্ষণে পরিস্থিতি কার্যত হাতে বাইরে। ক্ষোভে ফুঁসে উত্তেজিত হয়ে ওঠে জনতা। চলে বিক্ষোভ, তাণ্ডব। চারটি ছোট ম্যাটাডোর ভ্যান এবং একটি বাইকে ভাঙচুর চালায় ক্ষিপ্ত জনতা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি ছোট ম্যাটাডরে।
পুলিশি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত কোনও রকম লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে এলাকাবাসীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তাঁর হদিশ এখনও মেলেনি। সোমবার শিশুটিকে মেডিক্য়াল পরীক্ষা করানো হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।