হাওড়া: ছবিটা কল্পনা করলেই হয়ত গা-হাত-পা শিউরে উঠবে। এগারো বছরের ছেলেটার চোয়াল ফুঁড়ে ঢুকে গিয়েছিল রড। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সেই রড আটকেছিল নাবালকের মুখে। যা দেখে রীতিমত থতমত খেয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। শেষে জটিল অস্ত্রোপচার করে প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসকরা।
হাওড়ার বাঁকসাড়া এলাকার বাদিন্দা আদিত্য শর্মা (১১)। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সে। গত আঠারো তারিখ বাড়ির সামনে ফুটবল খেলছিল আদিত্য। সেই বল চলে যায় মাঠ সংলগ্ন পার্কে। বল আনতে গিয়ে পার্কের লোহার রেলিং টপকাতে গিয়ে পড়ে যায়। তখনই রেলিংয়ে বেরিয়ে থাকা রড তার চোয়াল ফুঁড়ে ঢুকে যায়। আদিত্যর মা গীতা শর্মা জানান যে, ওই অবস্থায় তাঁর ছেলে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। নাবালকের মা বলেন, “ও খেলা করছিল। সেই সময় আচমকা লোহার রড ঢুকেছিল ওর গালে তখনই ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়।”
এরপর লোহার রড কেটে আদিত্যকে নিয়ে আসা হয় স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে। বাঁচার আশা প্রায় ছিল না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসক (ম্যাক্স জিলো ফেসিয়াল সার্জেন) রামানুজ ঘোষ জানান, ” শিশুটির অবস্থা দেখে সঙ্গে-সঙ্গে আমরা মেডিকেল বোর্ড তৈরি করি। ওর প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। কারণ যেভাবে রড ঢুকেছিল তা শ্বাসনালিতে আটকে যেতে পারত। প্রায় তিন ঘণ্টা জটিল অস্ত্রপচার করে রড বের করা হয়।”
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আদিত্য জানায়, “এখন আমি অনেকটাই সুস্থ।” চিকিৎসকরা জানান এখন পুরোপুরি বিপদমুক্ত আদিত্য।হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের ভূমিকায় খুশি পরিবার।