Howrah: বয়স পেরিয়েছে একশোর গণ্ডি, তাতেই বড় উপহার পুরসভার, দ্বিগুণ হয়ে গেল কনকলতা দেবীর পেনশন

Subrata Banerjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Sep 01, 2023 | 10:11 PM

Howrah: ১০৩ বছর বয়সে ঘরে বসেই সুখবর পেলেন হাওড়ার পাঁচলার কনকলতা দেবী। সরকারি নিয়ম মেনে এবার দ্বিগুণ টাকা পেনশন পেতে চলেছেন তিনি।

Howrah: বয়স পেরিয়েছে একশোর গণ্ডি, তাতেই বড় উপহার পুরসভার, দ্বিগুণ হয়ে গেল কনকলতা দেবীর পেনশন
কনকলতা দেবীর বাড়িতে পুরকর্মীরা
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই পেনশন পাচ্ছেন হাওড়া পুরসভা থেকে। সংসারের ঘানি টানতে পেনশনের সেই টাকা অনেকটাই কাজে লাগে। হাওড়ার আন্দুলের পাঁচপাড়া এলাকার বাসিন্দা কনকলতা ভট্টাচার্যের বয়স এখন একশো তিন বছর। এদিকে নিয়ম বলছে, শতবর্ষ পার হলেই কোনও পেনশনভোগীর পেনশন দ্বিগুণ হয়ে যায়। সে কারণেই এবার দ্বিগুণ পেনশন পেতে চলেছেন কনকলতা দেবী। এদিন তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁকে সে কথা জানিয়ে এলেন পুরসভার আধিকারিকরা। একইসঙ্গে তাঁকে সম্মানও জানানো হয়। পুর আধিকারিকদের মতে, নিয়ম থাকলেও হাতেগোনা কয়েকজনই এই সুবিধা পান। কারণ শতবর্ষে পা দেওয়ার অনেক আগেই সিংহভাগ মানুষ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘজীবী হয়ে কনকলতা দেবী তৈরি করেছেন এক অনন্য নজির। 

হাওড়া পুরসভার ইতিহাসেও এটা এক অভিনব ঘটনা বলেই মত পুর আধিকারিকদের। এই প্রথম কেউ শতবর্ষ পার করায় দ্বিগুণ টাকা পেনশন পেতে চলেছেন। প্রসঙ্গত, কনকলতা দেবীর স্বামী তারাশঙ্কর ভট্টাচার্য হাওড়া পুরসভার মোটর বিভাগের কর্মী ছিলেন। অবসরের পর নিয়মমতো পেনশনও পাচ্ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর পেনশনের টাকা যায় স্ত্রীর কাছে। কিন্তু, রাজ্য সরকারের ROPA(রিভিশন অব পে এন্ড এলাওয়েন্স) পেনশন আইন বলছে কোনও পেনশনভোগী ১০০ বছর পার করলেই তাঁর টাকা হবে দ্বিগুণ। এবার সেই সুবিধা পেতে চলেছেন কনকলতা দেবী। 

অবসর নেওয়ার পর পেনশন পেয়ে আসছিলেন। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী কনকলতা পেনশনভোগী হন। রাজ্য সরকারের ROPA(রিভিশন অব পে এন্ড এলাওয়েন্স) পেনশন আইন অনুযায়ী শতবর্ষ পার হলে পেনশনভোগীর পেনশন দ্বিগুণ হয়। সেই নিয়মানুসারে কনকলতাদেবীর পেনশন দ্বিগুণ হয়। এখন থেকে ৯ হাজার টাকার বদলে ১৮ হাজার টাকা পেনশন পাবেন তিনি।

শুক্রবার হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী,  কন্ট্রলার অফ ফাইন্যান্স অরুণাভ ঘোষ-সহ কয়েকজন আধিকারিক হাওড়ার পাঁচলায় কনকলতাদেবীর বাড়িতে যান। তাঁকে সম্মান জানিয়ে মিষ্টিমুখ করান। এরপর পেনশন সংক্রান্ত কাগজে টিপ সইও নেন। এদিকে পুরসভার নয়া উদ্যোগী খুশি কনকলতা দেবীর পরিবারের সদস্যরাও।

 

Next Article