AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ATM theft Case: লোহার ডিভাইস লাগিয়ে ATM থেকে তোলা হচ্ছে টাকা! হাওড়ায় হাতেনাতে ধরল পুলিশ

ATM theft Case: পুলিশ দেখতে পায় ভিতর ঢুকে তিনি এটিএম মেশিনে একটি লোহার তৈরি অত্যাধুনিক ডিভাইস লাগাচ্ছেন।

ATM theft Case: লোহার ডিভাইস লাগিয়ে ATM থেকে তোলা হচ্ছে টাকা! হাওড়ায় হাতেনাতে ধরল পুলিশ
এই সেই ব্যক্তি
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2023 | 2:24 PM
Share

হাওড়া: এটিএম থেকে নানা উপায়ে টাকা চুরির ঘটনা নতুন নয়। তবে হাওড়ায় যেভাবে দিনের পর দিন অভিনব কায়দায় মেশিন থেকে টাকা তোলা হচ্ছিল, তাতে উদ্বিগ্ন পুলিশও। হাওড়ার বালির জি টি রোডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের এটিএম-এ এই ঘটনা ঘটছিল বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান খোদ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। এরপরই তৎপর হয় পুলিশ। একেবারে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় অভিযুক্তকে। তাঁর কাছে এক বিশেষ ধরনের ডিভাইস পাওয়া গিয়েছে। সেটি লাগিয়েই টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নেমে মহম্মদ সাহিল নামে এক যুবককে বৃহস্পতিবার সাতসকালে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে গ্রেফতার করেছে বালি থানার পুলিশ। এই চুরির পিছনে আর কেউ আছে কি না, কোনও চক্র কাজ করছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে বালি থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে জি টি রোডের ধারে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের এটিএমের সামনে অপেক্ষা করছিলেন তদন্তকারীরা। সবার আসা-যাওয়ায় নজর রাখছিলেন তাঁরা। সেই সময় প্রবেশ করেন ওই যুবক। পুলিশ দেখতে পায় ভিতর ঢুকে তিনি এটিএম মেশিনে একটি লোহার তৈরি অত্যাধুনিক ডিভাইস লাগাচ্ছেন। তখনই তাঁকে হাতেনাতে ধরে পুলিশ। ধৃত সাহিল কলকাতার তিলজলার ২৮এ গোলাম জিলানি খান রোডের বাসিন্দা। তিনি কেন এভাবে বালিতে এসে দিনের পর দিন টাকা লুঠ করছিলেন, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

হাওড়া সিটি পুলিশের বিভিন্ন থানা তদন্তে নেমেছে। কোথাও এভাবে এটিএম থেকে টাকা চুরি বা লুঠ হচ্ছে কি না, সবটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। গত ২৫ অগস্ট ওই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারলেও ধরতে পারছে না। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি নর্থ অনুপম সিং জানিয়েছেন, ধৃতকে জেরা করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে আর কেউ জড়িত আছে কি না।