Howrah: জন্মেছিলেন স্বাধীনতার আগে, হাওড়ার ১০৩ বছরের বৃদ্ধার এনুমারেশন ফর্ম জমা করলেন BLO
BLO: হাওড়া রামরাজাতলা এলাকার রামচরণ শেঠ রোডে রামরাজাতলা মোড়ের কাছে থাকেন ১০৩ বছরের বাসিন্দা পার্বতী দাস। ভোটার তালিকায় তাঁর জন্ম তারিখ জ্বলজ্বল করছে ১২ ই আগস্ট ১৯২৩। অর্থাৎ তখনও দেশ স্বাধীন হয়নি। শিবপুর বিধানসভার ২২৭ নম্বর বুথ এলকার বাসিন্দা পার্বতী দেবীর স্বামী বহু আগেই মারা গিয়েছেন।

হাওড়া: বয়স ১০৩। ঠিক মতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। চোখেও দেখতে পান না ভাল করে। তবে কথাবার্তা সাবলীল। মঙ্গলবার তাঁরই এনুমারেশন ফর্ম জমা এবং আপলোড করল নির্বাচন কমিশন। এ দিন, সকালে বিএলও এই প্রবীণ ভোটারকে গলায় উত্তরীয় জড়িয়ে এবং হাতে ফুল দিয়ে সম্মান জানানো হয়। বৃদ্ধা পার্বতী দাস বলেন, “তিনি এবারও ভোট দেবেন। কারণ দেশের কল্যাণ চান।”
হাওড়া রামরাজাতলা এলাকার রামচরণ শেঠ রোডে রামরাজাতলা মোড়ের কাছে থাকেন ১০৩ বছরের বাসিন্দা পার্বতী দাস। ভোটার তালিকায় তাঁর জন্ম তারিখ জ্বলজ্বল করছে ১২ অগস্ট ১৯২৩। অর্থাৎ তখনও দেশ স্বাধীন হয়নি। শিবপুর বিধানসভার ২২৭ নম্বর বুথ এলকার বাসিন্দা পার্বতী দেবীর স্বামী বহু আগেই মারা গিয়েছেন। সংসারে রয়েছে ছেলে,বৌমা এবং আত্মীয় পরিজন। আজ তাঁরই এনুমারেশন জমা করলেন বিএলও।
পার্বতী বলেন, “আমার খুব ভাল লাগছে। আমি তো গিয়ে ভোট দিতে পারব না। বাড়ি থেকে যদি ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আমি যেমন মানুষ তেমনই আছি। এখন চোখের সমস্যা হচ্ছে। পায়ে ব্যথা আছে। এই যা পরিবর্তন হয়েছে।” অপরদিকে, বিএলও রূপা লাহিড়ী বলেন, “এটা ২২৭ নম্বর পার্ট। বিধানসভা শিবপুর। জন্মের শংসাপত্র দেখতে-দেখতে বললাম, ওঁর বয়স একশোর বেশি। আমি তো এই এলাকারই মানুষ। উনি আমাদের ভীষণই পরিচিত। তবে আমি ওঁর বয়স জানতাম না। তবে, এসআইআর করতে গিয়ে দেখলাম ১৯২৩ সালে ওঁর জন্ম। তখন জানলাম উনি বরিষ্ঠতম। ওঁর ২০০২ সালে ভোটার লিস্টে নাম আছে। ওঁর মাথা যথেষ্ঠ পরিষ্কার আছে। নয়ত দেশের কল্যাণের চিন্তা করছেন এখনও উনি। এই মানুষ যতদিন থাকবেন দেশের কথাই ভাববেন।”
