
হাওড়া: ভোটের এখনও বেশ কয়েক মাস বাকি। কিন্তু তার আগেই তপ্ত হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতির মাটি। এই তো ক’দিন আগে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে বিস্তর চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। বীরবাহের সাফ কথা, “এ রাজ্যে একটাই দল থাকবে তৃণমূল, একজনই নেত্রী থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজনই নেতা থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” বিজেপির বিরুদ্ধেও কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলছিলেন, “আগামীদিনে ঝাণ্ডা বাঁধার মতো একটাও খুঁটি যেন বিজেপি না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে”। এবার হুঙ্কার শোনা গেল রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তিওয়ারির গলায়।
রবিবার হাওড়া সদরের শিবপুর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান থেকেই মন্ত্রীর গলায় শোনা গেল ‘বদলার’ সুর। মঞ্চ থেকেই বললেন, “বিরোধী দলের নেতাদের, আমাদের দলের মধ্যে থাকা গদ্দারদের বলছি তাঁরা যদি আমাদের দলকে আবার আমাদের দিদিকে বদনাম করে, অপমান করে তাহলে আমি বলেছি তখন কিন্তু আমাদের ছেলেদের আটকাতে পারব না। বদল নয়, বদলা নেব। ভেব না যে মনোজ তিওয়ারি খেলোয়াড় মানুষ বলে সব খারাপ কথা চুপ করে সহ্য করে যাবে! এখন কিন্তু সময়টা আর ওরকম নেই।”
এদিন বারবার নিউটনের তৃতীয় সূত্রের কথা মনে করাতে দেখা যায় মনোজ তিওয়ারিকে। রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, “নিউটনের তৃতীয় সূত্র বলছে প্রতিটা ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। আমি আজ যা বললাম, এবার সেটা বাংলা অনুবাদ করে ভাল করে বুঝে নিক বিরোধীরা।” তবে পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। সুর চড়িয়েছেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই। ঘাসফুল শিবিরের তুলোধনা করে বলেন, “প্রতিহিংসার রাজনীতি করে তৃণমূল। বিজেপির কর্মীদের লাগাতার মারধর করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি-ঘর। তাই এবার বদলা নেবে বিজেপি। বদলা নেবে জনতা।”