হাওড়া: ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিল ছেলে। আচমকা মদ্যপ বাবার হামলা। একেবারে খুনের চেষ্টা। শুনতে অবাক লাগলেও, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের মানসিংহপুর শিবতলা এলাকায়। এ কাণ্ড করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু, স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ধরে ফেলে একেবারে গাছে বেঁধে রাখেন। খবর যায় পুলিশে।
জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই ঘুমোচ্ছিলেন শিবতলা এলাকার বাসিন্দা রাজেশ সামন্ত। অভিযোগ, সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় বাবা সুনীল সামন্ত এসে তাঁর উপর এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ বসাতে থাকেন। গলা থেকে বুক, হাত, পেট, বাদ যায় না কিছুই। ঘুমন্ত অবস্থায় বাবার এই রূপ দেখে হকচকিয়ে যান রাজেশ। ঘর ভেসে যায় রক্তে। রাজেশের চিৎকারেই ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। এদিকে ততক্ষণে পালিয়ে যাওয়ার উপক্রম করছেন অভিযুক্ত। কিন্তু তাঁকে ধরে ফেলেন এলাকার লোকজন। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা বিভাস মেটে বলেন, “খবর পেয়ে আমি কারখানা থেকে ছুটি আসি। এসে দেখি একেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড। রাজেশকে ওর বাবা কুপিয়েছে। আমরা এসে দেখি গোটা শরীর থেকে রক্ত ঝরছে। দেখা মাত্রই আমরা রাজেশকে ডাক্তারখানা নিয়ে যাই। ৫৫টা সেলাই পড়েছে। বাবা-ছেলের মধ্যে কী ঝামেলা হয়েছিল আমরা জানি না। এখনও সেটায় ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে আগও ওদের মধ্যে প্রায়শই ঝামেলা হয়েছে। মাঝে বন্ধ ছিল। এখন আবার হল। পঞ্চায়েত থেকে থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এসে রাজেশের বাবাকে ধরে নিয়েছে গিয়েছে। আমরা চাই ওর জেল হোক। এ তো একেবারে খুনের চেষ্টা। গলার নলি কাটার চেষ্টা করেছিল প্রথম। রাজেশ মুখ সরিয়ে নিতে গালে লাগে।”