হাওড়া : রবিবার টাকা উদ্ধারের পর সোমবার রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার প্রচুর সোনার গয়না ও সোনার বাট। এদিন রাত সাড়ে নটা নাগাদ হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম এক ব্যক্তিকে ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফ অফিসারদের। সন্দেহের বসে তাঁর ব্যাগ পরীক্ষা করে আরপিএফ। আর ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক সোনার গয়না। সেই সঙ্গে ছিল সোনার বাটও।
আরপিএফ থেকে যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি পাঁচ হাজার টাকা। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তাঁর নাম চন্দ্রভান মিশ্র। তিনি উত্তরপ্রদেশের মতিগঞ্জের বাসিন্দা বলে জানান। যদিও ওই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে থাকা বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না ও সোনার বাটের স্বপক্ষে কোনও উপযুক্ত তথ্য বা প্রমাণ দিতে পারেননি। তাঁর কথাবার্তাতেও অসঙ্গতি ধরা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। এরপরই আটক করা হয় তাঁকে। খবর দেওয়া হয়, কাস্টমস অফিসারদের। শুল্ক দফতরের অফিসারেরা পৌঁছলে তাঁদের হাতে ও সোনার গয়না ও বাট তুলে দেয় আরপিএফ।
রবিবারই হাওড়া স্টেশন থেকে কার্যত উদ্ধার হয় টাকার পাহাড়। ৩২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে আরপিএফ। বেআইনিভাবে টাকা নিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে সম্প্রতি আরপিএফের তরফে অভিযান ‘সতর্ক’ চালু হয়েছে। এরপরই পরপর দুদিন দু’ দফায় হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা।
শনিবার হাওড়া স্টেশনে আরপিএফের ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ এবং ক্রাইম প্রিভেনশন ও ডিটেকশন স্কোয়াডের আধিকারিকরা তল্লাশি চালায়। প্রথমে হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সে ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এক ব্যক্তিকে আটক করে তারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বাসিন্দা বিধান চন্দ্র কুমার নামে ওই ব্যক্তির কাছে থাকা ব্যাগ থেকে নগদ ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়।