Suicide: হাওড়ায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, কিছু সময় পরে উদ্ধার মায়েরও ঝুলন্ত দেহ

Subrata Banerjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Feb 13, 2024 | 11:45 PM

Suicide: পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বাকসাড়ার সাতঘড়া এলাকায়। এদিনই সায়নীর উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিড কার্ড আনার কথা ছিল। কিন্তু, এদিনই হঠাৎ বাড়ির একটি ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে সায়নীর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়।

Suicide: হাওড়ায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, কিছু সময় পরে উদ্ধার মায়েরও ঝুলন্ত দেহ
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Facebook

Follow Us

হাওড়া: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তাঁর মায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার বাকসাড়ায়। মঙ্গলবার দুপুরে নিজেদের বাড়ির ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে প্রথমে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সায়নী রায় (১৮) নামে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর দেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই ওই একই জায়গা থেকে তরুণীর মা আল্পনা রায়ের (৪২) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে বোটানিক্যাল গার্ডেন থানার পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বাকসাড়ার সাতঘড়া এলাকায়। এদিনই সায়নীর উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিড কার্ড আনার কথা ছিল। কিন্তু, এদিনই হঠাৎ বাড়ির একটি ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে সায়নীর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ এসে দেহটি হাওড়া জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। তখন বাড়িতে একাই ছিলেন সায়নীর মা আল্পনা দেবী। কিছুক্ষন বাদেই পুলিশের কাছে খবর আসে, আল্পনা দেবীও গলায় দড়ি দিয়ে ওই ঘরে একই সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন। সায়নীর আত্মীয়রাই খবর দেন পুলিশকে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে আল্পনা দেবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মেয়ের মৃত্যুর শোক সামলাতে না পেরে মানসিক অবসাদে আল্পনাও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মেয়ে সায়নীর গতবছরই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিলে। কিন্তু গতবছর সে প্রস্তুত না থাকায় কোনও কারণে উচ্চ মাধ্যমিক দিতে পারেনি। এবারও হয়তো উচ্চমাধ্যমিকের জন্য ঠিকমতো প্রস্তুতি ছিল না। সে কারণে অবসাদে ভুগছিল। সেই অবসাদ থেকেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অন্যদিকে মেয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন মা। তবে এ বিষয়ে বাড়ির অন্যান্যদের পাশাপাশি এলাকার লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। 

Next Article