হাওড়া: উনুনে তখনও হাঁড়ি বসানো। মা কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে এসেছিলেন। বাড়িতে ফিরে দেখেন, মেয়ে ঘরে নেই। প্রথমে ভেবেছিলেন স্কুলে গিয়েছে হয়তো। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও মেয়ে না ফিরলে খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু খোঁজ মেলেনি। এদিকে, সেই একই দিন থেকে নিখোঁজ ওই নাবালিকার মাসতুতো বৌদি ও তাঁর চার বছরের সন্তান। একই দিনে ননদ, বৌদি ও তার ৪ বছরের শিশুপুত্রের নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার জগাছায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ অক্টোবর জগাছার উনসানি নতুন সানা পাড়া এলাকা বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়। নাবালিকার মা জানিয়েছেন, ওই দিন ডাক্তার দেখাতে কলকাতার SSKM হাসপাতালে এসেছিলেন তিনি। বাড়িতে ফিরে দেখেন উনানে ভাতের হাঁড়ি বসানো আছে। প্রথমে মনে করেন মেয়ে হয়তো স্কুলে গেছে। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে ওই কিশোরীর মা জগাছা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে জানা যায় ওই দিনই নাবালিকার মাসতুতো বৌদি জমিলা বেগম (২৪) ও তার ৪ বছরের শিশু নিখোঁজ হয়েছে।
জমিলার স্বামী শেখ মফিজউদ্দিনও নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এমনিতে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে মাসতুতো বোনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাঁদের ঘরে নিয়মিত আসা যাওয়া করত ওই নাবালিকা। তার স্ত্রী ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে অনুমান করছেন তিনি। প্রতিবেশী শেখ আহম্মদ হোসেন জানান, অনেকেই নাবালিকাকে স্কুলের পোশাকে বেরোতে দেখেছেন। একই সঙ্গে কীভাবে নিখোঁজ হল, তা ভেবে তারা অবাক হয়েছেন।
ওই কিশোরীর মা এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন এবং দর্জির কাজ করে সংসার চালান। মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। গোটা ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে জগাছা থানার পুলিশ। এর পেছনে কোনও নারী পাচার চক্র রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।