Howrah: ‘একজনের সঙ্গে বেরিয়েছি’, কিছুক্ষণ পরেই বাড়িতে হাজির পুলিশ, ছেলের খবরে শিউরে উঠলেন মা

Road Accident: দ্বিতীয় হুগলি সেতুর নবান্নর সার্ফ বেন্ডের কাছে কাজিপাড়ার অ্যাপ্রোচ রোডে ওই যুবককে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

Howrah: 'একজনের সঙ্গে বেরিয়েছি', কিছুক্ষণ পরেই বাড়িতে হাজির পুলিশ, ছেলের খবরে শিউরে উঠলেন মা
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিক্রম দাস। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2022 | 7:46 AM

হাওড়া: যুবকের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ায়। বাস থেকে পড়ে বছর তিরিশের ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তবে পরিবারের লোকজন তা মানতে নারাজ। বুধবার নবান্নের কাছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সংযোগকারী রাস্তা থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করা হয়। সেই যুবকেরই মৃত্যু হয় পরে। যা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। নিহত ওই যুবকের নাম বিক্রম দাস (৩০)। প্রাথমিক তদন্তের পর শিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, বাস থেকে কোনওভাবে সেতুর উপর পড়ে যান ওই যুবক। মাথায় গুরুতর চোট পান। সে কারণেই এই মৃত্যু। যদিও পরিবারের লোকেরা তা মানতে চাননি। বরং এর পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর নবান্নর সার্ফ বেন্ডের কাছে কাজিপাড়ার অ্যাপ্রোচ রোডে ওই যুবককে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশের কাছে খবর গেলে ওই যুবককে পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বাস থেকে পড়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে, এ কথা পুলিশ বললেও তাঁর পরিবারের তরফে ঘটনার তদন্ত দাবি করা হয়েছে।

ওই যুবকের পরিবারের দাবি, বুধবার বকুলতলার বাড়ি থেকে হাওড়া ময়দানে যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন বিক্রম। কিন্তু কীভাবে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে গেলেন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে রহস্য। হাওড়া ময়দানে আসতে গেলে যে রাস্তা ব্যবহার করার কথা সেই রাস্তা ছেড়ে নবান্নের কাছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোলপ্লাজার রাস্তায় বিক্রম কী করছিলেন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বিক্রমের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন দুপুরে ফোনে তিনি বাড়িতে জানিয়েছিলেন, একজনের সঙ্গে বেরিয়েছেন। কিন্তু তাঁর নাম বলেননি। এটা নিছকই পথ দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ পরিবারের লোকজন। এর পিছনে রহস্য আছে দাবি মৃতের পরিবারের। এদিকে ঘটনাস্থলে সিসিটিভি থাকলেও তা খারাপ। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে সিসিটিভি খারাপ থাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

নিহতের দিদি বলেন, “ভাইকে ফোন করলাম মায়ের সঙ্গে কথা বলব বলে। ও বলল মা বাড়িতে। আমি একজনের সঙ্গে বেরিয়েছি কাপড় দেখতে। ময়দানে যাচ্ছি আমি। বাড়ি গিয়ে কথা বলাব। মা ফোন করে বলছে, হাসপাতাল থেকে ফোন এসেছে। আমার সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল অনেক আওয়াজ আসছিল। ও কারও বাইকে ছিল, নাকি বাসে ছিল বুঝতে পারিনি। আমার একটা মাত্র ভাই। যে এটা করল তার শাস্তি চাই।”

বিক্রমের পরিবারের লোকেরা জানান, থানা থেকে পুলিশ এসে জানায় বাড়ির ছেলে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি। শুনেই গলা শুকিয়ে যায় মায়ের। এরপর পিসির ছেলেরা হাওড়া হাসপাতালে গিয়ে দেখেন সব শেষ! ঘটনার যথাযথ তদন্ত চায় পরিবার।

আরও পড়ুন: Jalpaiguri: ১০০ দিনের কাজের কী হাল, গ্রামে গ্রামে ঘুরে দেখলেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা!