Howrah Station: পুজোর সময় থেকেই হাওড়া স্টেশনে চলছে একটা বিশাল বড় চক্র! বড় পদক্ষেপ করল RPF
Howrah Station: গত কয়েক মাসে হাওড়া ডিভিশনে বেশ কয়েকটি এই ধরনের ঘটনা ঘটায় নড়েচড়ে বসে আরপিএফ। স্পেশাল অ্যান্টি ড্রাগ স্কোয়াড তৈরি করা হয়। ওই টিম চলন্ত ট্রেনে ও প্লাটফর্মে নজরদারি শুরু করে
হাওড়া: ট্রেনের মধ্যে মাদক খাইয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুঠ করার একটি বড়সড় চক্রকে ধরল আরপিএফ। বুধবার হাওড়া স্টেশনের আট নম্বর প্লাটফর্মে আপ মিথিলা এক্সপ্রেস দাঁড়িয়েছিল। ওই ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরায় ওঠার জন্য যাত্রীরা যখন প্লাটফর্মে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সেই সময় ভিড়ের মধ্যে পাঁচজন দুষ্কৃতীও তাদের মধ্যে মিশে ছিলেন। এই পাঁচ জনের মধ্যে কয়েকজন আগেও বেশ কয়েকটি মামলায় ধরা পড়েছিল। কর্তব্যরত আরপিএফ আধিকারিকরা তাদের চিনতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় অন্যান্য আরপিএফ আধিকারিকদের। বাকি বাহিনী এসে ওই পাঁচজন দুষ্কৃতীকে হাতেনাতে ধরেন। তাদের ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে আরপিএফ জওয়ানরা মাদক, ঠান্ডা পানীয় এবং জলের বোতল উদ্ধার করে।
আরপিএফ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দেওয়ালি এবং ছট পুজো উপলক্ষে হাওড়া স্টেশনে যাত্রী চাপ যথেষ্ট বেশি। এই সময় এই দুষ্কৃতীরা ট্রেনে উঠে যাত্রীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাদের মাদক মেশানো ঠান্ডা পানীয় অথবা জল খাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি তাদের পাতা ফাঁদে পা দেন, তাহলে ওই যাত্রীর সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা।
গত কয়েক মাসে হাওড়া ডিভিশনে বেশ কয়েকটি এই ধরনের ঘটনা ঘটায় নড়েচড়ে বসে আরপিএফ। স্পেশাল অ্যান্টি ড্রাগ স্কোয়াড তৈরি করা হয়। ওই টিম চলন্ত ট্রেনে ও প্লাটফর্মে নজরদারি শুরু করে। এর ফলেই গতকাল ধরা পড়ে দুষ্কৃতী দল। আরপিএফ এর পক্ষ থেকে ধৃতদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে আধিকারিকরা। এরপর আর পি এফ এর পক্ষ থেকে তাদের হাওড়া স্টেশনের জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাদের হাওড়া আদালতে তোলা হবে।