হাওড়া: ডোমজুড়ের কোরোলা এলাকায় চুরির অপবাদে একই পরিবারের তিনজনকে আটকে রেখে মারধর ও মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য। এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করল ডোমজুড় থানার পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে।পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী জানান, পেশ করা হবে হাওড়া আদালতে। ধৃতরা হলেন আবুল হাসান লস্কর, ঈশা লস্কর, শ্যাম লস্কর, মোক্তার আলি, আরবাজ লস্কর, মেহবুল্লা মিদ্দা ও শাহরুখ লস্কর।
প্রসঙ্গত, চুরির অপবাদ দিয়ে এক পরিবারকে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর এবং তাঁদের তিনজনকে চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ডোমজুড়ের উত্তর কলোড়াতে। পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত পরিবারের এক মেয়ে প্রতিবেশী এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। দিন ২৫ আগে মেয়েটি তাঁর প্রেমিককে বিয়ে করে পালিয়ে যায়। এরপরই ব্যবসায়ীর পরিবার মনে করে যে, পালিয়ে যাওয়ার সময় মেয়েটি ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ১৩ দিন আগে মেয়েটির বাবা, মা এবং দাদাকে তাঁদের কারখানায় ডেকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে তাঁদের ওই কারখানায় আটকে রাখা হয়। তাঁদের তিন জনের মাথার চুলও কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে রেকর্ডিং করা হয়। দিন কয়েক আগে গোটা ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। আক্রান্ত পরিবারের অভিযোগ, শুধু মারধর করা নয় তাঁদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। গ্রামছাড়া করে দেওয়া হয়।গ্রামে ঢুকলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির কারণে ওই পরিবার ঘটনাস্থল থেকে দশ কিলোমিটার দূরে জগদীশপুরে একটি দূর সম্পর্কের আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে কার্যত অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটছিল তাঁদের। পরে আজ জগদীশপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ খবর পেয়ে ওই পরিবারকে উদ্ধার করে। পুলিশ আক্রান্ত পরিবারের বয়ান রেকর্ড করে। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, এফআইআর-এ নাম থাকা আবুল হাসান লস্কর, ঈশা লস্কর ও শ্যাম লস্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে।