হাওড়া: হাওড়ার শিবপুরে (Shibpur Chaos) কিছুদিন আগে গোলমালের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই ঘটনার সরব হয়েছিলেন বিভিন্ন মহল। জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। এখন অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। ছন্দে ফিরেছে জনজীবন। এরই মধ্যে পুলিশের তরফে বদলি (Police Transfer) সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে শিবপুর থানার (Shibpur Police Station) আইসিও। শিবপুর থানার আইসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন অরূপ কুমার রায়। তাঁকে রাজ্য পুলিশের ইন্টেলিজেন্স শাখার ইনস্পেক্টর করে পাঠানো হল। সেই জায়গায় শিবপুর থানার আইসি হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এর আগে ঝাড়গ্রামের কোর্ট ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন।
শুধু শিবপুর থানার আইসিকেই বদলি করা হচ্ছে না, সেই সঙ্গে বদল করা হচ্ছে হাওড়া থানার আইসিকেও। হাওড়া থানার আইসি হিসেবে এতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন দীপঙ্কর দাস। তাঁকে এবার পাঠানো হল ঝাড়গ্রামের কোর্টে ইনস্পেক্টর পদে। হাওড়া থানার নতুন আইসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সন্দীপ পাখিরাকে। তিনি এর আগে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে ইন্টেলিজেন্স শাখায় ডেপুটেশনে ছিলেন। এবার তাঁকে হাওড়া থানার দায়িত্বে নিয়ে আসা হল। সাম্প্রতিক ঘটনা পরম্পরার নিরীখে এই বদলি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রেড রোডে ধরনায় বসেছিলেন, সেই সময়ই তাঁর কানে গিয়েছিল হাওড়ার গোলমালের কথা। ধরনামঞ্চ থেকেই সেই ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলে দিয়েছিলেন, ‘পুলিশরা অনেক কাজ করে। কখনও কখনও আবার ভয় পেয়ে যায়, দুই দিকে রিলেশন রাখতে গিয়ে। আমি পরিষ্কার বলছি, আজকের ঘটনায় যারা দায়ী, যারা ঢুকতে দিয়েছে, আমি তাঁদের বিরুদ্ধেও স্ট্রং অ্যাকশন নেব।’
প্রসঙ্গত, সেদিনের ঘটনার পর পুলিশের তরফে যথেষ্ট সংবেদনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছিল। গোলমাল পাকানোর ঘটনায় গ্রেফতারিও হয়েছিল অনেক। পুলিশি ব্যবস্থাপনায় পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।