হাওড়া: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রথীন ভট্টাচার্য থেকে বৈশালী ডালমিয়া, হাওড়ায় তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সন্দেহাতীত ভাবেই চাপে রয়েছে শাসক দল। এই প্রেক্ষিতে যে ডুমুরজলা মাঠে কয়েকদিন আগে রাজীব-সহ বিজেপি নেতারা সভা করেছিলেন সেখানেই পাল্টা সভা করে দলত্যাগীদের আক্রমণ শানালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। শ্রীরামপুরের সাংসদের কটাক্ষ, যে তৃণমূল নেতাদের বাঘ ভেবে দলে টেনেছেন অমিত শাহরা, তাঁরা আসলে বেড়াল।
রবিবারের সভা থেকে পদত্যাগী মন্ত্রী, ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা অধুনা বিজেপি নেতাকে নিশানা করে কল্যাণের বল্গাহীন মন্তব্য, “রাজীব যদি ভদ্রলোকের রক্ত শরীরে বয় তবে যেন ডোমজুড়ে প্রার্থী হয়, পালিয়ে না যায়।’’ এখানেই থামেননি কল্যাণ। তাঁকে ‘বেইমান মিরজাফর’ বলে কটাক্ষ করে তাঁর চ্যালেঞ্জ, রাজীবকে এমন হারানো হারাব যে, ২০২১ সাল থেকে দু’বছর রাতে ঘুমোতে না পারে।
আরও পড়ুন: এক্সক্লুসিভ: মমতার ছবি এখনও তাঁর অফিসেই রয়েছে, নিজের এলাকাতেই পদযাত্রায় বললেন রাজীব
অরূপ রায়, নির্মল মাজিদের সঙ্গে নিয়ে সভা থেকে কল্যাণের দাবি, কাঁথির সভায় গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন ঠিক বলেছেন। এরপর ফের শুভেন্দুকে নিশানা করেন কল্যাণ। শুভেন্দুকে হাইব্রিড বিজেপি বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদের কটাক্ষ, এখন দেখছি মাথায় সিঁথি করেছে, পাগড়ি বাঁধছে। আরএসএস হওয়ার চেষ্টা করছে।
রাজীবের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বিধানসভা থেকে মমতার ছবি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে বিঁধে কল্যাণের খোঁচা, উত্তম কুমার বেঁচে থাকলে বলতেন এত বড় অভিনয় আমিও পারতাম না। তিনি আরও বলেল, যতদিন সেচ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন ততদিন মমতা ভালো ছিলেন। পদ চলে যেতেই সবাই খারাপ। তবে দলত্যাগীদের জন্য আসন্ন বিধানসভা ভোটে তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেন কল্যাণ। বলেন, টাকার লোভে এঁরা দল ছেড়েছেন। তবে অমিত শাহ যাদের তুমি বাঘ ভেবেছেন তাঁরা কিন্তু বেড়াল। একুশের ভোটের ফল বেরলেই দেখা যাবে এরা সবাই ইঁদুর, কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদের।
দলবদলুদের নিয়ে কল্যাণের দাবি, দলের ছেলেরা শুধু দেখতে চাইছিল আর ক’টা মীরজাফর আছে। সেগুলো যাওয়ার পর সব ময়লা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল আরও শক্তিশালী হয়েছে।