হাওড়া: তৃণমূলের গড় বীরভূম থেকে এসে কংগ্রেসে যোগদান। তাও আবার হাওড়ায় কংগ্রেসের দলীয় কর্মসূচিতে। এই ঘটনায় রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। একটা সময় বলা হতো, বীরভূম ‘বিরোধী শূন্য’। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সে ছবিও দেখেছে রাজ্যবাসী। সেই সময় বীরভূমের লাগাম জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের হাতে। সেই ‘রাজপাট’ এখন আর নেই। অনুব্রত এখন দিল্লির তিহাড় জেলে। সেই জেলা থেকে লোক এসে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি কংগ্রেসের।
তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বীরভূম। সেই বীরভূম থেকে প্রায় ২৫০ জন এসে যোগ দিলেন কংগ্রেসে। সোমবার হাওড়ার শরৎ সদনে সারা ভারত কংগ্রেস কমিটির পশ্চিমবঙ্গ কামগর ও কর্মচারী সংগঠনের প্রথম সম্মেলন ছিল। সেই অনুষ্ঠানেই কংগ্রেসে যোগদান কর্মসূচি হয়। সম্মেলনের অন্যতম আহ্বায়ক বিশ্বরূপ মণ্ডল জানান, এদিন বীরভূম জেলার প্রায় ২ হাজার মানুষের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। ২৫০ জন এসে যোগ দেন। বাকিদের আসতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় জোর করে আটকে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। এমনকী মোবাইল ফোন ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ করা হয়। ভয় দেখিয়ে আটকানো হয় বলে অভিযোগ।
বিশ্বরূপ মণ্ডলের দাবি, তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। তবে কংগ্রেস পিছু হঠবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বরং তাঁর বার্তা, ১৫ দিন পর বীরভূমেই আবার যোগদান কর্মসূচি করবে তারা। কংগ্রেসে যোগদানকারী ইউসুফ আনসারি বলেন, “আমি আগে রাজনীতি করিনি। খেটে খাওয়া মানুষ। রাহুল গান্ধীকে দেখে কংগ্রেসে আসা। রাজ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব কিছুর খারাপ অবস্থা। সেই হাল ফেরাতেই রাজনীতিতে এলাম।” যদিও এই যোগদান নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় নেতৃত্ব এ নিয়ে কথা বলতে নারাজ। তাঁদের দাবি, যাঁরা যোগ দিয়েছেন, এ জেলার কেউ নন।