হাওড়া: দুপুর তখন প্রায় সোয়া তিনটে। হঠাৎই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল শিবপুরের ফরশোর রোডের কোলডিপো চৌমাথায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বীরেন্দ্র ছেত্রী নামে বছর পঞ্চান্নর এক ব্যক্তি চৌমাথা এলাকার ক্রসিংয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তখনই আচমকা বেপরোয়া গতিতে আসা কলকাতা-মেদিনীপুর (Kolkata Medinipur) রুটের একটি বাস তাঁকে ধাক্কা মারে (Bus Accident)। বাসের সামনের ডানদিকের চাকায় পিষ্ট হয়ে কার্যত দেহ থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায় তাঁর। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় শিবপুর থানার পুলিশ। রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় মৃতদেহ। ওই ব্যক্তির মাথাটি একটি প্লাস্টিকে মুড়ে ও দেহটি আলাদা জায়গায় নিয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান শিবপুর থানার আধিকারিকরা। পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির বাড়ি চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকার দালালপুকুরে। তবে দুর্ঘটনার দায় কার তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন হাওড়া ট্রাফিক গার্ড ও শিবপুর থানার পদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে যখন দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন ফরশোর রোডের কোলডিপো ক্রসিংয়ে সিগন্যাল সবুজ ছিল। বেপরোয়া গতিতে নন্দীগ্রামগামী বাসটি কোলডিপো ক্রসিংয়ে এসে ডানদিকে ঘুরে কাজিপাড়া মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। ঠিক তখনই ওই ব্যক্তি সিগন্যাল না দেখেই ডানদিকে ঘোরার মুখে কোলডিপোর দিকে যাওয়ার জন্য রাস্তা পার হচ্ছিলেন। বেপরোয়া বাসটি ডানদিকে ঘোরার মুখেই বীরেন্দ্রবাবুকে ধাক্কা মারে। তারপর বাসটি কিছুদূর গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। শিবপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা চালক ও খালাসি-সহ বাসটিকে আটক করে।
যদিও ঝড়বৃষ্টির জেরে ফরশোর রোডের অনেকগুলি সিসিটিভি খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় ঠিক কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল তার ছবি সিসিটিভিতে পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা বা নন্দীগ্রামগামী দূরপাল্লার বাসের মতো বাসগুলি ফরশোর রোড ধরে সিংহভাগ সময়েই বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। নিত্যদিন চলে রেষারেষি। একটু দেখে চালালেই অনেক দুর্ঘটনাই এড়ানো সম্ভব। এদিনও অনেকেই এ দুর্ঘটনার জন্য বাসের চালককে কাঠগড়ায় তুলেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।