কলকাতা: দিদির বাড়িতে যাওয়ার পথে এ ভাবে হেনস্থার শিকার হতে হবে এখনও যেন ভাবতেই পারছেন না ‘সাথী’ সিরিয়াল খ্যাত অভিনেত্রী অনুমিতা দত্ত। কীভাবে দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে সে কথা স্পষ্ট জানালেন টিভি ৯ বাংলাকে। শুধু তাই নয়, এলাকার এক ‘দাদা’ তাঁর মা-কে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন এই টেলি অভিনেত্রী। শেষে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরও কোনও সুরাহা না হওয়ায় এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি।
কিন্তু ঘটেছেটা কী? অনুমিতা জানাচ্ছেন, “আমার মা-বাবা দাঁড়িয়ে মোগলাই কিনছিল। দোকানদার বলল, একটু দূরে পার্ক করুন। এরপর অন্য একজন দোকানদার খুব অসভ্য টোনে জানালেন গাড়ি পার্ক করা যাবে না। আমি বললাম পাঁচ মিনিটে চলে যাব। ওরা কোনও কথা শুনলেন না। আমি বললাম এইভাবে অসভ্যের মতো কথা বলবেন না। সেই সময় আমার ড্রাইভার গাড়িতেই ছিলেন। তিনি ঝামেলা এড়াতে অন্য জায়গায় সরিয়ে দেন।” অভিনেত্রী আরও জানালেন, “দুর্জয় কোলে নামে এক ব্যক্তি বলেন এখানেও গাড়ি রাখা যাবে না। সে রোয়াবই আলাদা। আমার মা কিন্তু এইসব নিয়ে কিছুই জানে না। তারপর আমার মা ড্রাইভারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় মা বলছিলেন এটা তো নো পার্কিং এলাকা নয়। আর ভিড় ও নেই। হাজার-হাজার খদ্দের নেই। কোট আন কোট বলছি আমার মাকেও গালিগালাজ করল। বলল তুই একটা …। তারপর গাড়িতে মারল দুর্জয়।”
অনুমিতা আরও বলেন, “আমার মা ওকে (দুর্জয়কে) ভদ্রভাবে কথা বলতেই বলায় সে বলে, তোকে চুলের মুঠি ধরে মারব। এরপর মারধরও করা হয়। তারপর আমরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিই। আমার হাতে এসেও মেরেছে। জেনারেল ডাইরি করলেও পুলিশ অ্যাকশন নেয়নি। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিদির বাড়ি যাচ্ছিলেন অনুমিতা। অভিনেত্রীর সঙ্গে গাড়িতেই ছিলেন তাঁর মা-বাবা। অভিযোগ, গাড়ির পার্কিং নিয়ে শুরু হয় বচসা। তারপর অভিনেত্রীর মা ও তাঁকে মারধর করা হয়। পরে হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ফের থানায় গেলে তাঁদের মৌখিকভাবে জানানো হয়, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এফআইআর-এর কপি দেওয়া হয়নি বলেও দাবি তাঁর। এরপর আজ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। মামলার শুনানি সোমবার।
যদিও অভিযুক্ত শুভঙ্কর কোলের দাবি তাঁর সঙ্গেই কথাকাটাটি হয়েছে অভিনেত্রীর। দুর্জয় বলে তিনি কাউকে চেনেন না। হয়তো নাম ভুল বলেছেন। তিনি বলেন, “উনি একটা চারচাকা নিয়ে এসেছিলেন। দোকানের সামনে গাড়িটা রাখেন। আমি গাড়িটা সরিয়ে রাখতে বলি। কিন্তু, উনি চেঁচামেচি শুরু করে দেন। বলেন বাবার দোকান নাকি! জোর করে গাড়িটা ওখানেই রাখেন। পাবলিকও ওনাদের আচরণ দেখে রেগে গিয়েছিল। অভিনেত্রীরা যে এত খারাপ হয় জানা ছিল না। ওরা যে মারধর করার কথা বলছে তা মিথ্যা। কারও গায়ে আমি হাত দিইনি।”