Nabanna Abhiyan: প্রস্তুত পুলিশ, অনুমতি না পেলেও সোমে নবান্নে অভিযানে ‘অনড়’ আন্দোলনকারীরা

Nabanna Abhiyan: পুলিশ অনুমতি না দিলেও সংগঠনগুলি জানিয়েছে, তাদের কর্মসূচিতে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। আগামিকাল বেলা ১২টায় হাওড়া স্টেশন থেকে জমায়েত শুরু হবে। তারপর সেখান থেকে গ্র্যান্ড ফরশোর রোড ধরে নবান্নের দিকে যাবেন আন্দোলনকারীরা।

Nabanna Abhiyan: প্রস্তুত পুলিশ, অনুমতি না পেলেও সোমে নবান্নে অভিযানে অনড় আন্দোলনকারীরা
নবান্নে যাওয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড করা হচ্ছেImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jul 27, 2025 | 11:18 PM

হাওড়া: হাটের দিনে মঙ্গলাহাটের এলাকায় জমায়েত-মিছিল করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করে নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে সোমবার নবান্ন অভিযানে অনড় পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী, চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ-সহ একাধিক সংগঠন। নবান্ন অভিযান নিয়ে সংগঠনগুলির এই মনোভাব জেনেই প্রস্তুত থাকছে পুলিশও। নবান্ন অভিযান ঠেকাতে তারা সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে।

পুলিশ অনুমতি না দিলেও সংগঠনগুলি জানিয়েছে, তাদের কর্মসূচিতে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। আগামিকাল বেলা ১২টায় হাওড়া স্টেশন থেকে জমায়েত শুরু হবে। তারপর সেখান থেকে গ্র্যান্ড ফরশোর রোড ধরে নবান্নের দিকে যাবেন আন্দোলনকারীরা। তবে পুলিশ তাঁদের যেখানে আটকাবে, সেখানে তাঁরা বসে অবস্থান শুরু করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের রাজ্য আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।

নবান্ন অভিযানের জেরে তাঁদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা। হাটের দিন মঙ্গলাহাটের এলাকায় জমায়েত-মিছিল করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, “আমরা কারও ব্যবসার বা কাউকে বিপদে ফেলার জন্য এই অভিযান করছি না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবির ভিত্তিতে এই অভিযানের ডাক দিয়েছি।” সোমবারের নবান্ন অভিযানে ১০ হাজার মানুষ জমায়েত হবে বলে দাবি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। এদিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হাওড়া স্টেশনে রেল পুলিশের আধিকারিক ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে এবং কথাবার্তা বলতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

নবান্ন অভিযানকে আটকাতে প্রস্তুত থাকছে হাওড়া সিটি পুলিশও। হাওড়া শহরের তিনটি মূল জায়গায় লোহার ভারী ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। নবান্নে ঢোকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোকে আটকে দেওয়া হবে। মিছিল ও জমায়েতের উপর নজরদারির জন্য ড্রোন ওড়ানো হবে। রাখা হচ্ছে জলকামানও।