হাওড়া: ডিএ-র মঞ্চে শনিবার নওশাদ সিদ্দিকিকে ধাক্কা মারেন এক যুবক। কিন্তু কেন তিনি এমন কাজ করছেন তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। নিজেকে ইউটিউবার পরিচয় দিয়ে ধরনামঞ্চের ভিতরে প্রবেশ করেছিলেন ওই যুবক। তবে আদৌ কি তিনি ইউটিউবার? কেনই বা আচমকা ধাক্কা দিলেন তিনি নওশাদকে? উঠছে প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, ওই যুবকের নাম আবদুল সালাম ওরফে তোতা। তিনি হাওড়ার বাঁকড়ার পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তৃণমূল পরিচালিত বাঁকড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য এই আবদুল। এলাকায় তিনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দল পরিবর্তন করেন তখন এই তোতাও দল পরিবর্তন করেছিলেন। পরে রাজীব তৃণমূলে ফিরে এলে আবদুলও ফিরে আসেন কি না তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও একাধিকবার টিভি ৯ বাংলা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন তোলেননি।
এ দিকে, বাঁকড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শেখ মেহের আলির যদিও দাবি, আবদুলের সঙ্গে তৃণমূলের আর কোনও যোগাযোগ নেই। এমনকী দু’বছর হয়ে গিয়েছে তিনি এলাকাতেও আসেন না। শেখ মেহের আলি বলেন, “আজকে ধর্মতলার বুকে এই ঘটনা কেন ঘটাল বলতে পারব না। তবে আমি জানি ও অসুস্থ। মানসিক সমস্যা আছে। তবে এটা সত্যি কথা ও আমাদের বাঁকড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য এখনও রয়েছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সঙ্গে ছিল না। তখন বিজেপি করত। এখনও ফিরে আসেনি তৃণমূলে। কারণ ওকে এখনও পুলিশ খুঁজছে। তবে ও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিল।” তিনি আরও বলেন, “ডোমজুড়ের বিধায়ক থাকাকালীন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। আমরা সকলেই পরিচিত ছিলাম। ও যেহেতু সরাসরি ইস্তফা দেয়নি। তাই আমরাও ওকে বহিষ্কার করিনি।” একই সঙ্গে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে ধাক্কার মারার ঘটনায় তীব্র নিন্দাও করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এ দিন ডিএ মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। তখনই আচমকা নওশাদকে ধাক্কা মারেন ওই যুবক। এরপরই পুলিশ ওই যুবককে বের করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বলেন, “এই ধরনের চড় বা শারীরিক হেনস্থা সমর্থন করি না। এটা সুস্থ রাজনীতি নয়। তবে এই মঞ্চ নাটকের মঞ্চ হয়েছে। নাটকের কোন অঙ্কে কে কী অভিনয় করছে সেটা বলা মুশকিল।”