হাওড়া: কোথাও বউমা লড়ছেন শাশুড়ির বিরুদ্ধে। কোথাও আবার শ্বশুড়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন জামাই। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে এ ছবি দেখা যাচ্ছে রাজ্যের নানা প্রান্তেই। এবার পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন একই বাড়ির তিন গৃহবধূ। তিন জায়ের এই লড়াই নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা চলছে হাওড়ায়। দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত থানামাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১১৩ নম্বর বুথে গ্রাম সভায় প্রার্থী হয়েছেন তিন জা। তৃণমূলের (Trinamool Congress) হয়ে লড়ছেন কাকলী বোস, কংগ্রেসের হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন নীলিমা বোস। অন্যদিকে পিঙ্কি বোস দাঁড়িয়েছেন বিজেপি থেকে।
এদিকে তাঁদের বাড়ি আবার এক সময় এলাকায় কংগ্রেস বাড়ি বলেই পরিচিত ছিল। এ কথা জানাচ্ছেন বাড়ির প্রবীণ সদস্য প্রফুল্ল বোস। ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মদনমোহন বোস। ভোটে জিতে এলাকার অনেক উন্নয়নও করেছিলেন। কিন্তু, তিনি মারা যেতেই এলাকার উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ অনেকটাই থমকে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন প্রফুল্লবাবু। এবার সেই বোস বাড়ির তিন গৃহবধূকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত ভোটের ময়দানে বাজিমাত করতে চাইছে শাসক-বিরোধীরা।
অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী নীলিমা বোসের আবার বেশ রাগ রয়েছে তৃণমূলের উপর। তিনি নিজেও এক সময় তৃণমূল করতেন। কিন্তু, তাঁর দাবি, প্রার্থী হতে গেলে দল থেকে এমন কিছু জিনিস চাওয়া হয়েছিল যা তাঁর পক্ষে দেওয়া অসম্ভব ছিল। পাশাপাশি তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। এ সব কারণেই তিনি শেষ পর্যন্ত ঘাসফুল ছেড়ে হাতের হাত ধরেছেন।
তবে জা হলেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসাবেই নীলিমা দেবীকে দেখছেন কাকলী বোস। তাঁর দাবি, কিছু সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু, দলকে সত্যি ভালবাসলে অন্য দলে যেতে হত না। তবে জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী তিনি। অন্যদিকে আরেক জা পিঙ্কি বোস বলছেন, মানুষ যদি সুযোগ দেয়, তিনি যদি ভোটে জেতেন তাহলে উন্নয়ন করা কাকে বলে তা তিনি দেখিয়ে দেবেন।