হাওড়া: রেলের থার্ড লাইনে কাজ হবে। আর তার জন্য আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত একাধিক ট্রেন বাতিল, গতিপথ পরিবর্তন, সময় পরিবর্তন করল পূর্ব রেল। চাতরা ও মুরারই স্টেশনের মাঝে থার্ড লাইনের সম্প্রসারণের কাজ হবে। তার জন্য বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অনেক দূরপাল্লার ট্রেনকে ঘুরপথে উত্তরবঙ্গে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাওড়া স্টেশনের ডিআরএম অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার এবং পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর ১২ দিন ওই সেকশনে নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ হবে। এর ফলে ওই দিনগুলোতে কিছু ট্রেন বাতিল থাকবে, কিছু ট্রেনের যাত্রা পথ সংক্ষিপ্ত করা হবে এবং কিছু ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হবে। মোট ১১ জোড়া মেল, এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে বাতিল করা হচ্ছে।
আপ হাওড়া মালদহ টাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস
হাওড়া জয়নগর এক্সপ্রেস
হাওড়া আজিমগঞ্জ কবিগুরু এক্সপ্রেস
হাওড়া গয়া এক্সপ্রেস
সাহেবগঞ্জ রামপুরহাট এক্সপ্রেস স্পেশাল,
আজিমগঞ্জ রামপুরহাট স্পেশাল
রামপুরহাট আজিমগঞ্জ মেমু স্পেশাল
রামপুরহাট আজিমগঞ্জ মেমু প্যাসেঞ্জার স্পেশাল
রামপুরহাট সাহেবগঞ্জ মেমু প্যাসেঞ্জার স্পেশাল
রামপুরহাট বারহারওয়া প্যাসেঞ্জার স্পেশাল আপ এবং ডাউন লাইনে বাতিল থাকবে
এছাড়াও ২১টি আপ ট্রেন ও ২১টি ডাউন ট্রেন ঘুরপথে যাতায়াত করবে। এদের মধ্যে আছে হাওড়ার রাধিকাপুর কুলিক এক্সপ্রেস, হাওড়া গুয়াহাটি সরাইঘাট এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ আগরতলা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ মালদহ টাউন গৌড় এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ বামনহাট উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, কলকাতা হলদিবাড়ি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, কলকাতা বালুরঘাট এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ নিউ আলিপুরদুয়ার পদাতিক এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেন।
দিঘা-মালদহ টাউন এক্সপ্রেস এবং মালদহ টাউন সুরাট এক্সপ্রেস নির্ধারিত দিনের বদলে অন্যদিন ছাড়া হবে। তারা জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের চাপ থাকার জন্য শিয়ালদহ-কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস বাতিল করার কথা ভাবা হলেও ঘুরপথে তা চালানো হবে। বুধবার হাওড়া এনজিপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস স্পেশাল ট্রেন হিসাবে চালানো হলেও যাত্রী ভাড়া একই থাকবে বলে জানান রেলের আধিকারিকরা।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, তৃতীয় লাইনের সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে ওই লাইন দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন এবং মালগাড়ি সহজে যাতায়াত করতে পারবে। ফলে ৭টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা পরিবহণেও সুবিধা হবে। পাশাপাশি যাত্রীরা কম সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারবেন।