Sacked Teachers Nabanna Abhijan: রাত পোহালেই আর একটা নবান্ন অভিযান, চিন্তায় মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা

Sacked Teachers Nabanna Abhijan: রবি, সোম ও মঙ্গলবার হাট বসে হাওড়া ময়দান চত্বরে। সোমবার 'যোগ্য' চাকরিহারা শিক্ষকদের ডাকে নবান্ন অভিযানের জেরে শনিবার থেকেই নবান্ন যাওয়ার রাস্তাগুলিতে কংক্রিটের ব্যারিকেড তৈরির কাজ শুরু করে পুলিশ। সাঁতরাগাছি স্টেশন, ফোরশোর রোড এবং হাওড়া ময়দান জিটি রোডে ব্যারিকেড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

Sacked Teachers Nabanna Abhijan: রাত পোহালেই আর একটা নবান্ন অভিযান, চিন্তায় মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা
কী বলছেন মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা?Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jul 13, 2025 | 9:56 PM

হাওড়া: রাত পোহালেই ফের নবান্ন অভিযান। সোমবার চার দফা দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ। পরপর দুই সপ্তাহে দুটি নবান্ন অভিযানের জেরে কপালে চিন্তার ফাঁজ মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের। তাঁদের বক্তব্য, নবান্ন অভিযানের জেরে হাট বন্ধ থাকছে। তার ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।

রবি, সোম ও মঙ্গলবার হাট বসে হাওড়া ময়দান চত্বরে। সোমবার ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকদের ডাকে নবান্ন অভিযানের জেরে শনিবার থেকেই নবান্ন যাওয়ার রাস্তাগুলিতে কংক্রিটের ব্যারিকেড তৈরির কাজ শুরু করে পুলিশ। সাঁতরাগাছি স্টেশন, ফোরশোর রোড এবং হাওড়া ময়দান জিটি রোডে ব্যারিকেড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে, যাতে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা হাওড়া স্টেশন থেকে মিছিল করে নবান্ন দিকে যেতে না পারেন। এই নবান্ন অভিযানের ফলে বিশেষ করে হাওড়া ময়দান এলাকায় প্ৰভাব পড়বে।

এদিকে দু’দিন আগে থেকে ব্যারিকেড তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন হাওড়া ময়দান এলাকার ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহে তাঁদের ব্যবসা মার খেয়েছে। এই সপ্তাহেও লোকসানের আশঙ্কা করছেন হাট ব্যবসায়ীরা।

রাজকুমার মণ্ডল নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, “নবান্ন অভিযান তো একদিনের সমস্যা নয়। প্রশাসন বলছে, একদিনের অভিযান। কিন্তু, নবান্ন অভিযানের আগের দিন, অভিযানের দিন এবং পরের দিন দোকান বন্ধ থাকবে। আমাদের তো এখানে রবি, সোম ও মঙ্গলবার হাট হয়। দোকানদার, হকাররা এই হাটের উপর নির্ভরশীল। এই তিন দিনই যদি হাট বন্ধ থাকে, তাহলে দোকানদার ও হকাররা খাবে কী? আমরা সমস্যায় ভুগছি।”

মদন কুমার দাস নামে আর এক ব্যবসায়ী বলেন, “রবি, সোম ও মঙ্গলবার হাট হয়। এই তিনদিন ব্যবসা হয়। এই তিনদিন বাদে অন্য দিন হলে সুবিধা হত। কিংবা অন্য রাস্তা দিয়েও যেতে পারত মিছিল। আমরা নানা সমস্যায় পড়ছি। ৫০০ হকার রয়েছেন। বারবার এমন হলে কীভাবে সংসার চলবে হকারদের?”