হাওড়া: আট বছর আগে বিয়ে হয়েছিল যুবতীর। ছ’বছরের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে তাঁর। তবে বিয়ের এত বছর হয়ে যাওয়ার পরও সংসারে অশান্তি কমেনি। দীর্ঘদিন ধরে যুবতীকে পণের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর সামনে এল তাঁর। যদিও, পরিবারের দাবি তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হওড়া সাঁকরাইলের রঘুদেববাটি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুমিতা নস্কর (৩০)। সূত্রের খবর, রঘুদেববাটির বাসিন্দা গোবিন্দ নস্করের সঙ্গে নলপুর বেটিয়ালির বাসিন্দা সুমিতা বাছারের (বাবার বাড়ির পদবী) বিয়ে হয় ৮ বছর আগে। গোবিন্দ একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। তাঁদের একটি ৬ বছরের কন্যা সন্তান আছে।
সুমিতার বাপের বাড়ি লোকেদের অভিযোগ, বিয়ের মাস তিনেক পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য তাঁকে মারধর করতে থাকে। মাঝে মধ্যে মেরে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিতেন। পরে বাপের বাড়ির লোকজনের মধ্যস্থতায় সুমিতা আবার শশুরবাড়িতে ফিরে আসতেন।
কিন্তু শনিবার সকালে সুমিতার বাপের বাড়ির লোকেদের কাছে খবর যায় তাঁদের মেয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের লোকজন সকালে এসে দেখেন বাথরুমে পোড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে সুমিতা। তখনই তাঁদের সন্দেহ হয় যে সুমিতাকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই বিষয়টিকেই আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চালিয়েছেন সুমিতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এমনই অভিযোগ। মৃতার দাদার অভিযোগ, বোনের শাশুড়ি,ভাসুর,জা এবং তাঁর স্বামী তার বোনের মৃত্যুর জন্য দায়ী। টাকার জন্য বিয়ের পর তারা তাঁর বোনের উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাত।
এই ঘটনায় সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত মানিকপুর তদন্ত কেন্দ্রে মৃতের বাড়ির লোকজন স্বামী সহ চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ গৃহবধূ খুনের মামলা শুরু করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মর্গে। ইতিমধ্যেই মৃতের শাশুড়ি,স্বামী,ভাসুর এবং জা-কে মানিকপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনাস্থলে সরেজমিনে তদন্ত করতে আসেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।