
হাওড়া: মারধরের হাত থেকে একজনকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ গেল এক যুবকের। গলার নলি কেটে তাঁকে খুন করা হয়। মৃত যুবকের নাম সৌভিক দত্ত(২৬)। গতকাল গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে লিলুয়ার পটুয়াপাড়ায়। এই ঘটনায় পুলিশ অমিত রায়চৌধুরী নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে শুক্রবার হাওড়া আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, পটুয়াপাড়ায় শিশু ও তরুণ সমাজ ক্লাবের উদ্যোগে গণেশ পুজো হয়েছিল। গতকাল রাত বারোটা নাগাদ ক্লাবের ছেলেদের উদ্যোগে খাওয়া-দাওয়া শুরু হয়। সেইসময় সৌভিক লক্ষ্য করেন, অমিত রায়চৌধুরী একটি ছেলেকে মারধর করছেন। তখন সৌভিক ওই ছেলেটিকে বাঁচাতে ছুটে যান। এই নিয়ে অমিত ও সৌভিকের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন অমিত পকেট থেকে ছুরি বার করে সৌভিককে আক্রমণ করেন। তাঁর গলার নলি কেটে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সৌভিক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এখানেই সৌভিক দত্তর উপর হামলা চালানো হয়
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় লিলুয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্ত অমিত রায়চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত ছুরি। খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতকে শুক্রবার হাওড়া আদালতে তোলা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, বছর ছাব্বিশের সৌভিকের বাড়িতে রয়েছে তাঁর মা ও ভাই। তাঁর মাকে ছেলের মৃত্যুর খবর এখনও জানানো হয়নি। অভিযুক্ত অমিতের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতের মামাতো দাদা সুব্রত দে বলেন, “অভিযুক্ত যুবক মহুরির কাজ করে। বাড়ি থেকে ছুরি এনে আমার ভাইকে মেরেছে।”