পুরুলিয়া: বাড়িতে ঝামেলা করে বেরিয়ে গিয়েছিল দুই নাবালিকা। পুরুলিয়া থেকে ট্রেনে পৌঁছয় শিয়ালদহ। আর সেখান থেকেই ঘুরে গিয়েছিল তাদের জীবন। ক্রমেই অন্ধকারের চোরা গলিতে ঘুরতে থাকে তারা। শিয়ালদহ থেকে বিহারের দক্ষিণ চম্পারণ! কাজ দেওয়ার নাম করে যে দিদি নিয়ে গিয়েছিল, সে-ই নানা চটুল জলসায় নাচ করতে বাধ্য করায়। আপাতত সেই দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করতে পেরেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। একইসঙ্গে আন্তঃরাজ্য নারী পাচার চক্রের এক মহিলা চাঁইকে গ্রেফতারও করা হয়েছে সোমবার।
বর্ধমান থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন তাঁকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২ জানুয়ারি দু’জন নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। ট্রেন ধরে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছয়। সেই সময় এক মহিলার খপ্পড়ে তারা পড়ে। কাজ দেওয়ার নাম করে মন ঘোরায় ওদের। এক যুবককে স্বামী পরিচয় দিয়ে ওই মহিলা কাজের ব্যবস্থার কথা বলেছিল। সেই সূত্রে আরেকজন মহিলার খোঁজ মেলে। দুই নাবালিকাকে পশ্চিম চম্পারণে নিয়ে গিয়ে নাচের দলে ঢুকিয়ে দেয় বলে জানতে পেরেছি। যৌন হেনস্থারও চেষ্টা হয়। আমরা ওই নাবালিকাদের উদ্ধার করেছি। পরে পরিচয় হওয়া মহিলাকে গ্রেফতার করেছি।”
ওই নাবালিকাদের সেখান থেকেও অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কারা যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নারী পাচার চক্রকে রুখতে নানা সময়ে প্রচার চালায় পুলিশ। পরিবারের লোকজনকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়। কিন্তু তারপরও প্রতি নিয়ত এমন ঘটনা ঘটে চলেছে দেশে।