জলপাইগুড়ি: মর্মান্তিক। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট গরুকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের চার জনের। মৃতদের মধ্যে আড়াই বছরের এক শিশুও রয়েছে। শুক্রবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের টাকিমারি সংলগ্ন এলাকায়। মৃতদের নাম পরেশ দাস(৬০), মিঠুন দাস(৩২), দীপালি দাস(৫৫) ও সুমন দাস(আড়াই বছর)।
দু’দিন থেকে লাগাতার চলছে ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাত। আর এই বৃষ্টির ফলে একাধিক জায়গায় জল জমতে শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় হুকিং করে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ করছিলেন পরেশ দাস। হুকিংয়ের তারের একটি দিক বাড়ির সামনে জমা জলে পড়েছিল। সেইসময় তাঁর ছেলে মিঠুন দাস গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। গরুটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লাফাতে শুরু করে। তখন তাকে বাঁচাতে যান মিঠুন। তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ছেলেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে দেখে দৌড়ে আসেন পরেশ। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনিও। তাঁদের আওয়াজ শুনে বাড়ির ভিতর থেকে দৌড়ে আসেন পরেশের স্ত্রী দীপালি দাস। তাঁর কোলে ছিল আড়াই বছরের সুমন। তাঁরাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না পরেশের মেয়ে। তাঁরই ছেলে আড়াই বছরের সুমন। চারজন বিদ্যুৎস্পষ্ট হওয়ার খবর পেয়ে আসে ভোরের আলো থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলেই চার জনের মৃত্যু হয়। দেহগুলি উদ্ধার করে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনায় কার্যত বাকরুদ্ধ পরেশ দাসের কন্যা। সন্তান ও বাবা-মা-দাদাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়। একইসঙ্গে হুকিং নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।