
জলপাইগুড়ি: ছবিটা একবার দেখুন। এই মাছটির ওজন আড়াই কেজি। ছবি দেখে চিনতে পারছেন? যদি বলা হয়, এটা পার্শে মাছ। বিশ্বাস হচ্ছে না? ভাবছেন, পার্শে মাছের ওজন আবার আড়াই কেজি হয় নাকি! বড়জোর তো ২০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। সত্যিই এটা পার্শে মাছ। ওজন প্রায় আড়াই কেজি। আর এই পার্শে মাছটি পাওয়া গিয়েছে জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীতে। মাছটি দেখতে ভিড় জমে যায় বাজারে। তিস্তায় আড়াই কেজির পার্শে মাছ পাওয়ার কথা শুনে চমকে গেলেন মৎস্য বিশেষজ্ঞও।
কথায় আছে, মাছে ভাতে বাঙালি। রুই, কাতলা, ইলিশ, চিংড়ির পাশাপাশি পার্শে মাছ বাঙালির অত্যন্ত প্রিয়। সে পাতলা ঝোল হোক কিংবা সরষে বাটা। কেউ আবার আরও উপাদেয় করে পার্শে মাছ রান্না করে থাকেন। তবে বাজারে সাধারণত যেসব পার্শে মাছ পাওয়া যায়, তার ওজন ৫০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত।
২ কেজি ৪০০ গ্রামের পার্শে মাছ
কিন্তু জলপাইগুড়িতে তিস্তা নদীতে এবার মৎস্যজীবীর জালে আড়াই কেজি ওজনের পার্শে মাছ ধরা পড়ল। বৃহস্পতিবার বিকেলে নদীতে মাছটি ধরার পর জলপাইগুড়ি রেসকোর্স পাড়ার বিবেকানন্দ বিপণন কেন্দ্রের বাজারে নিয়ে আসেন ওই মৎস্যজীবী। তারপর তা ৫০০ টাকা কিলো দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি করে দেন। মাছটি কিনে নেন গান্ধী দাস নামে এক মাছ ব্যাবসায়ী। এত বড় সাইজের পার্শে মাছ দেখতে ভিড় জমে যায়। পরে ওই মাছটিকে কেটে ৬০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি করেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা অমৃত সরকার, বীরেন মহন্ত বলেন, “এত বড় সাইজের পার্শে মাছ আগে কখনও দেখিনি। তাই কিনে নিলাম।” মাছ ব্যবসায়ী গান্ধী দাসের বক্তব্য, তিনি গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে মাছ বিক্রি করেন। কিন্তু, এতবড় সাইজের পার্শে মাছ আগে কখনও দেখেননি। মাছটির ওজন ২ কেজি ৪০০ গ্রাম হয়েছে বলে তিনি জানান।
হুগলি জেলার সিঙুরের বাসিন্দা বিশিষ্ট মৎস্য বিশেষজ্ঞ সুমিত মিত্র মাছটির ছবি দেখার পর জানান, “এই মাছটিকে ফ্ল্যাটহেড গ্রে মালেট বলে। এই মাছ সমুদ্র সংলগ্ন এলাকায় পাওয়া যায়। তিস্তায় কীভাবে এল, তা রিসার্চ করলে দেখা যাবে। এই মাছটা খেতে খুব সুস্বাদু।”