কিশোরীকে মদ খাইয়ে অর্ধনগ্ন ভিডিয়ো ভাইরাল! গ্রেফতার তৃণমূল নেত্রী

আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্ৰামের পর জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে ঘটে গিয়েছে ন্যক্কারজনক নারী নির্যাতনের ঘটনা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির গাদং ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এক কিশোরী নির্যাতনের ঘটনা সামনে এল।

কিশোরীকে মদ খাইয়ে অর্ধনগ্ন ভিডিয়ো ভাইরাল! গ্রেফতার তৃণমূল নেত্রী
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 19, 2021 | 5:46 PM

জলপাইগুড়ি: মদ খাইয়ে কিশোরীর অর্ধনগ্ন ভিডিয়ো ভাইরাল করার অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ধূপগুড়িতে। অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় লজ্জা-আতঙ্কে রয়েছে ওই কিশোরী। অন্যদিকে ঘটনায় তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোরের পর স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁর অভিযুক্ত স্বামী পলাতক।

আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্ৰামের পর জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে ঘটে গিয়েছে ন্যক্কারজনক নারী নির্যাতনের ঘটনা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির গাদং ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এক কিশোরী নির্যাতনের ঘটনা সামনে এল।

জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা-মা সাফাইকর্মীর কাজ করেন। কিশোরী পাশের পঞ্চায়েত সদস্যা প্রতিমা সরকারের বাড়ি সহ দোকানে পরিচারিকার কাজ করে এবং বেশিরভাগ সময় সে ওখানেই কাটাত।

কিছুদিন আগেই সেই কিশোরী প্রতিদিনের মতো দুপুর বেলা তাদের বাড়িতে যায়। কিছুদিন আগেই কিশোরী প্রতিদিনের মতো দুপুর বেলা তাঁদের বাড়িতে যায়। অভিযুক্ত পার্থ সরকার কিশোরীর ভিডিয়ো করতে চায় বলে অভিযোগ। প্রথমে তার স্ত্রী তাকে বাধা দেন। কিন্তু পার্থ জানায় এসব কেউ জানবে না। এরপর মদের বোতল খুলে পার্থ তাঁর স্ত্রী ও কিশোরীকে জোর করে খাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তারপর কিশোরীর পরনের পোষাক খুলতে বলে কিন্তু সে রাজী না হলে চড় মারা হয়। এমনকি লাঠি দিয়ে মারার হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে অসহায় কিশোরী পরনের পোষাক খুলতে বাধ্য হয়।

এর পর তাকে হাসতে বলা হয় এবং সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো মোবাইলে তুলে রাখেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। কিছুদিন পর সেই ভিডিয়ো এলাকায় ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিও ভাইরাল হতেই চলে অনেকের কটুক্তির শিকার হয় কিশোরী। লজ্জা, ভয়ে বর্তমানে বাড়িতে কার্যত লুকিয়ে রয়েছে ওই কিশোরী।

পরে কিশোরী বিষয়টি হাট কমিটিকে জানালে তারা পাশে দাড়িয়েছে। তাদের সহযোগিতায় শুক্রবার রাতে ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়েরের পরেই এদিন পঞ্চায়েত সদস্যাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মূল অভিযুক্ত, তাঁর স্বামী পলাতক। ঘটনায় নিন্দার ঝড় জেলা জুড়ে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।

এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই সাংবাদিক সম্মেলনে করেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী। সেখানে পঞ্চায়েত সদস্যাকে সাসপেন্ড ঘোষণা করা হয়।

বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কটাক্ষ, “এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গোটা রাজ্যে এই ঘটনা ঘটছে এবং বুদ্ধিজীবীরা পাঁচশো, হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছেন। তৃণমূলের কাপড় ইস্ত্রি করে পড়ে রয়েছে বুদ্ধিজীবীরা। তাই এই অসহায় কিশোরী মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায় না তাঁদের।”

আরও পড়ুন: Malda Murder:মালদায় একই পরিবারের চার সদস্যকে হত্যার পেছনে যোগসাজশ দুই ভাইয়ের! নেপথ্যে কি সম্পত্তি?

জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ধূপগুড়ি থানায় শুক্রার রাতে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পোকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।