SSC: ‘আমি প্রেগন্যান্ট, চাকরি হারিয়ে এই রোদে ধূপগুড়ি-জলপাইগুড়ি করছি’, চাকরি ফিরে পেতে নতুন লড়াই তানিয়াদের

Nileswar Sanyal | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Apr 25, 2024 | 6:25 PM

SSC: চাকরি হারিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আইনি লড়াই করতে চলেছেন ২০১৬ সালের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই করতে গেলে প্রয়োজন নামজাদা উকিলের। আর তার জন্য দরকার যথেষ্ট অর্থ বলেই দাবি চাকরিহারাদের।

SSC: আমি প্রেগন্যান্ট, চাকরি হারিয়ে এই রোদে ধূপগুড়ি-জলপাইগুড়ি করছি, চাকরি ফিরে পেতে নতুন লড়াই তানিয়াদের
চাকরিহারা তানিয়া রায়।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: হঠাৎ করে চাকরি চলে যাওয়া, মাথার উপর বাজ পড়ার সমান। পরিবার-পরিজন, আরও কত দায়বদ্ধতা! আদালতের নির্দেশে চাকরিহারারা এবার সুপ্রিম কোর্টের পথে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একজোট হয়ে সেই লড়াইয়েরই প্রথম ধাপ দেখা গেল জলপাইগুড়ি রাজবাড়ি দিঘির সামনে। সেখানে জেলার যোগ্য প্রার্থীরা জমায়েত করে এদিন চাঁদা তুললেন, ওকালতনামায় সই করে জমা দিলেন নিজেদের বিভিন্ন কাগজপত্র।

চাকরি হারিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আইনি লড়াই করতে চলেছেন ২০১৬ সালের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই করতে গেলে প্রয়োজন নামজাদা উকিলের। আর তার জন্য দরকার যথেষ্ট অর্থ বলেই দাবি চাকরিহারাদের। তাই সকলে মিলে কিছু কিছু করে চাঁদা দিয়ে ফান্ড তৈরি করে আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটতে চান চাকরিহারা।

পুঁটিমারির এক স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক দেবাশিস রায় বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ার জন্য তো একটা খরচ আছে। প্রতিবার মুভ করতে ১৭-১৮ লক্ষ টাকা বা তারও বেশি লাগে। আমরা সেই টাকা তুলছি। আমরা যারা যোগ্য প্রার্থী, কোথাও কোনও ফাঁক নেই, কাগজপত্র মিলিয়ে দেখছি। এরপর আমাদের প্রতিনিধি মারফত কলকাতায় পাঠাব। জলপাইগুড়ি জেলাতেই আড়াই হাজারের উপরে যোগ্য আছেন। ওকালতনামায় সই করছেন আজকে সকলে। আমরা ফান্ডও সংগ্রহ করছি একসঙ্গে। ২ হাজার টাকা করে আপাতত ধার্য করেছি। আমরা জিতবই। আমরা কোনও অন্যায় করিনি।”

ধূপগুড়ি গার্লসের অঙ্কের শিক্ষিকা তানিয়া কুণ্ডু। নবম-দশমের শিক্ষিকা তানিয়া সন্তানসম্ভবা। তিনি এসেছেন ধূপগুড়ি থেকে। চোখে মুখে ক্লান্তি, তার উপর এমন চড়া রোদ। বলছেন, পথে না নামলে যে পথ নেই। তানিয়া বলেন, “আমি প্রেগন্যান্ট। এমনিতেই গরমে নাকাল। শরীরটা ঠিক নেই। তারপরও ধূপগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি ছোটাছুটি করছি। যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পেয়েছি। সমস্ত ভেরিফিকেশন করে, ভাইভা দিয়ে, লিখিত পরীক্ষা দিয়ে। সব প্রমাণ আছে। আমাদের অনেকবার ভেরিফিকেশন হয়েছে। বারবার আমরা ডিআই অফিসে গিয়েছি, কাগজ জমা দিয়েছি এই অযোগ্যদের জন্য। তারপর এখন এসে শুনছি চাকরিটাই নেই।”

Next Article