Jalpaiguri: টিভি-৯ বাংলার খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল কৃষি দফতর, সার বিক্রেতাকে সঙ্গে নিয়ে চলল স্পট ভিজিট! তবু পিছু ছাড়ল না বিতর্ক

Nileswar Sanyal | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 23, 2025 | 8:58 AM

Jalpaiguri: অভিযোগকারীকে আগাম না জানিয়ে অভিযুক্ত সার বিক্রেতাকে সঙ্গে নিয়ে ফিল্ড ভিজিট করলেন কৃষি আধিকারিক। কৃষকদের কাছ থেকে নেওয়া হল না সারের নমুনা। এতেই ভুয়ো সার নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধলো রাজগঞ্জে।

Jalpaiguri: টিভি-৯ বাংলার খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল কৃষি দফতর, সার বিক্রেতাকে সঙ্গে নিয়ে চলল স্পট ভিজিট! তবু পিছু ছাড়ল না বিতর্ক
চলছে চাপানউতোর
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

রাজগঞ্জ: টিভি-৯ বাংলার খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল কৃষি দফতর। ভুয়ো সার নিয়ে তদন্ত করতে সার বিক্রেতাকে সঙ্গে নিয়ে স্পট ভিজিট করতে গেলেন কৃষি দফতরের জেলা আধিকারিক। গেলেন সার বিক্রেতার দোকানেও। কিন্তু ফিল্ড ভিজিট করলেও কৃষকের কাছ থেকে নেওয়া হল না বিতর্কিত সারের নমুনা। আর এতেই স্পট ভিজিট করা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর গ্রামপঞ্চায়েতের নর্থ বেঙ্গল ফার্ম গ্রামে।

ভুক্তভোগী কৃষক তথা বিজেপির কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি নকুল দাসের অভিযোগ, তিনি ভুয়ো সার নিয়ে ব্লক কৃষি দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু শনিবার তার বোরো চাষের জমিতে স্পট ভিজিট করতে আসেন এক আধিকারিক। অথচ তাঁকে আগাম কোনও খবর দেওয়া হয়নি। তার সঙ্গে কথা না বলে তার দাদাকে নিয়ে ফিল্ড ভিজিট করেছেন। পাশাপাশি যেই বিতর্কিত ১০:২৬:২৬ সার তিনি জমিতে দিয়েছিলেন সেই সার তাঁর কাছে রাখা আছে বলে জানাচ্ছেন। কিন্তু কৃষি দফতর ওই রেখে দেওয়া সার থেকে কোনও নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়নি। তাই যেই সার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে তা আদৌও তাঁর কেনা একই গোত্রের সার নাকি অন্য কোনও সার তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তাঁর মনে। তাঁর দাবি, নিজেদের বাঁচাতে এখন অনেক কিছুই চেষ্টা করতে পারে কৃষি দফতর।

অপরদিকে জেলা কৃষি আধিকারিক গোপাল চন্দ্র সাহা জানান, তিনি নিয়ম মেনে সবটা করেছেন। ফিল্ড ভিজিট করেছেন। জমির বর্তমান অবস্থার ছবি সংগ্রহ করেছেন। পাশাপাশি নিয়ম অনুযায়ী যেই দোকান থেকে ওই সার বিক্রি হয়েছিল সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে। প্রসঙ্গত, রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নর্থ বেঙ্গল ফার্ম গ্রামের বোরো ধান চাষীদের অভিযোগ ছিল যেই রাসায়নিক সার তাঁরা দোকান থেকে কিনে এনে জমিতে দিয়েছিলেন ওই সার জলে মিশে না গিয়ে ভেসে উঠছে। গাছের বৃদ্ধি হচ্ছে না। তাই তাঁদের সন্দেহ ওই সার ভেজাল আছে। এ নিয়েই চলছে চাপানউতোর। অন্যদিকে সারের কালোবাজারি নিয়ে গোটা রাজ্য থেকেই আসছে অভিযোগ। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে  শোরগোল।