Jalpaiguri Nursing Training School: স্যরের মিষ্টি কথায় ছাত্রীরা ‘মুগ্ধ’! ভুয়ো নার্সিং সেন্টারে চলত আরও কীর্তি

Nileswar Sanyal | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 30, 2023 | 6:55 PM

Jalpaiguri: রুমা বর্মন নামে এক প্যাথলজির এক ছাত্রীর বক্তব্য, অভিযুক্ত কথার জালে জড়িয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। ছাত্রীদের সামনে এমনভাবে কথা বলতেন, সন্দেহের কোনও অবকাশই ছিল না। ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা, বারবার বলতেন। শিলিগুড়ি, কলকাতার পাশাপাশি বেঙ্গালুরুতেও ওনার সেন্টার আছে বলেছিলেন।

Jalpaiguri Nursing Training School: স্যরের মিষ্টি কথায় ছাত্রীরা মুগ্ধ! ভুয়ো নার্সিং সেন্টারে চলত আরও কীর্তি
নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের সামনে ছাত্রীরা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: স্যরের মিষ্টি মুখ। এমনভাবে কথা বলতেন, সকলে মুগ্ধ হয়ে শুনতেন তা। বিশ্বাসও করতেন এক বাক্যেই। এখন তো ছাত্রীদের কপালে হাত! এবার সামনে আসছে, ভুয়ো ওই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে প্যাথলজির বিদ্যাও দিতেন ‘চিকিৎসক’ শান্তনু শর্মা। ভুয়ো নার্সিং ট্রেনিং স্কুল কাণ্ডে এবার নতুন তথ্য উঠে এল। শনিবার জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বেশ কয়েকজন ছাত্রী। অভিযোগ দায়ের হতেই শান্তনু শর্মার খোঁজে তল্লাশি শুরু পুলিশের। জলপাইগুড়ির দিশারি নার্সিং ট্রেনিং স্কুল। ২০১৮ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠান চলছে। অভিযোগ, এত বছর ধরে এত মেয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, অথচ সম্প্রতি সামনে আসে এই নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। এদিকে এখানে প্রশিক্ষণের জন্য মোটা টাকা খরচ করতে হয়। এত বছরে অনেকে শংসাপত্রও পেয়েছেন প্রশিক্ষণ শেষে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এই খবর সামনে আসতেই তাঁদের কপালে হাত। প্রশ্নের মুখে এখন যাঁরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁদের ভবিষ্যৎও।

রুমা বর্মন নামে প্যাথলজির এক ছাত্রীর বক্তব্য, অভিযুক্ত কথার জালে জড়িয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। ছাত্রীদের সামনে এমনভাবে কথা বলতেন, সন্দেহের কোনও অবকাশই ছিল না। ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা, বারবার বলতেন। শিলিগুড়ি, কলকাতার পাশাপাশি বেঙ্গালুরুতেও ওঁর সেন্টার আছে বলেছিলেন। এখন এমন ঘটনা সামনে আসায় হতবাক তাঁরা। দোষীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা।

রুমার কথায়, “এত নাম ওঁর। তারপর এখন শুনছি এটা ভুয়ো প্রতিষ্ঠান চালান। ঘুম থেকে উঠে খবরের চ্যানেলে দেখি এটা নাকি ভুয়ো। কোনও অনুমোদনপত্র নেই ওদের। এখন আমরা টাকার জন্য ঘুরছি। উনি তো পালিয়ে গিয়েছেন। আমরাও এফআইআর করেছি। পুলিশ বলছে, টাকা ফেরানোর গ্যারান্টি তো দিতে পারব না, তবে অপরাধীরা যাতে শাস্তি পান দেখবেন। আমরা জানতাম উনি ডাক্তার। টাকার খুব চাহিদা ওঁর। ৫ হাজার ৩০০ টাকা নিয়েছেন ভর্তির সময়। পরে আবার ২ হাজার টাকা চান। বলেছিলেন প্রতিমাসে এই টাকা দিতে হবে। এমনকী টাকা দিতে দেরি করলে ৫০ টাকা ফাইন দিতে হবেও বলেছিলেন। এত উনি মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন। কখন যে কী বুঝিয়ে দিতাম মাথাতেও ঢুকত না।”

Next Article