জলপাইগুড়ি: নাবালিকাকে যৌন হয়রানি ও পাচারের চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জহুরি তালমা এলাকায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিল উত্তেজিত জনতা। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে নাবালিকাকেও। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। অনেকেই বলছেন, পাচারের উদ্দেশ্যেই নাবালিকাকে টার্গেট করেছিল ওই ব্যক্তি।
ঘটনার সময় এলাকার ছিলেন শুভঙ্কর দাস। তিনি বলছেন, সন্ধ্যা নাগাদ ওই বাচ্চা মেয়েটিকে নিয়ে স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকানে গিয়েছিলেন ওই ব্যাক্তি। ওদের অসংলগ্ন কথা শুনে সন্দেহ হয় স্থানীয় এক মহিলার। উনিই আমাদের ডাকেন। আমরাই ওই ব্যক্তিকে আটকে রেখে কোতয়ালি থানায় খবর দিই। পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। লোকটিকেও ধরে নিয়ে যায়।
নাবালিকার অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরেই ওই ব্য়ক্তি নানা খারাপ কথা বলছিলেন। তার শরীরেও হাত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত জানাচ্ছেন, নাবালিকার বাড়ি কোচবিহার জেলার মাথাভাঙাতে। তিনি বলছেন, “আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। যে ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”