Migrant Worker’s Death: ফের বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু, দুর্ঘটনা না পিটিয়ে খুন? তদন্তের দাবি তৃণমূল বিধায়কের

Migrant Worker’s Death: সোমবার দীপুর মায়ের মৃত্যু হয়। সেই খবর জানানোর জন্য ভাইয়েরা দাদাকে ফোন করে। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ হয়নি। তখন তাঁরা ওই ঠিকাদার সংস্থায় ফোন করেন। তাঁর দাদাকে মায়ের মৃত্যু সংবাদ জানাতে অনুরোধ করেন।

Migrant Worker’s Death: ফের বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু, দুর্ঘটনা না পিটিয়ে খুন? তদন্তের দাবি তৃণমূল বিধায়কের
চাপানউতোর চলছেই Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 31, 2025 | 8:01 PM

জলপাইগুড়ি: ভিন রাজ্যে কাজ গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে বাড়ছে রহস্য। বাংলায় কথা বলাতেই পিটিয়ে খুন? প্রশ্ন তৃণমূল বিধায়কের। বাংলা থেকে পুণেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকুল ভিটা গ্রামের বাসিন্দা দীপু দাস। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন থেরেই এক ঠিকাদার সংস্থার অধীনে ভিন রাজ্যে কাজ করছেন। এবার কাজ করছিলেন পুণেতে। 

সোমবার দীপুর মায়ের মৃত্যু হয়। সেই খবর জানানোর জন্য ভাইয়েরা দাদাকে ফোন করে। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ হয়নি। তখন তাঁরা ওই ঠিকাদার সংস্থায় ফোন করেন। তাঁর দাদাকে মায়ের মৃত্যু সংবাদ জানাতে অনুরোধ করেন। এরইমধ্যে মঙ্গলবার রাতে ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে দীপুর পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন আসে। তখনই বলা হয় দীপু দাস মারা গিয়েছে। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, মৃত্যুর কারণ জানতে চাওয়া হলে বিভিন্ন কারণ বলা হয়। আর এতেই সন্দেহ বাড়ে পরিবারের। 

ভাই অপু দাস বলেন, “দাদার মৃতদেহের যে ছবি পাঠানো হয় তা দেখে আঁতকে ওঠে আমাদের পরিবারের সদস্যরা। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই আমাদের সন্দেহ ছাদ থেকে পড়ে নয়, অন্য কোনওভাবে মৃত্যু হয়েছে দাদার। আমরা সঠিক তদন্ত চাই। পুণে থেকে মৃতদেহ নিয়ে আসার মতো আমাদের আর্থিক সঙ্গতি নেই। তাই আমরা সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছি।” সন্দেহ দানা বেঁধেছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু রায় বলছেন, ছবি দেখে মনে হচ্ছে দীপুকে কেউ মেরে ফেলেছে! এখন দীপুর দেহ আনতে কে যাবে তা নিয়েও চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। বলছেন, কে দেহ আনতে যাবে তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। দীপুর মা মারা যাওয়ার পর পরিবারের লোকজন ব্যস্ত।  

যদিও বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমিজুউদ্দিন আহমেদ বলছেন অসহায় ওই পরিবারকে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। অন্যদিকে রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলছেন, “আমি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। উনি পরিবারকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছেন। এটা কি নিছক দুর্ঘটনা নাকি বাঙালি বলেই তাকে পিটিয়ে খুন তার নিয়ে সঠিক তদন্ত চাই।”