Awas: আবাসের টাকায় ঘর বানিয়েছিলেন, সেই ঘরই ভেঙে দিলেন সরকারি কর্তা-আধিকারিকরা! কারণ জানলে অবাক হবেন

Nileswar Sanyal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 13, 2025 | 4:00 PM

Awas: ময়নাগুড়ি দোমহনি গ্রামপঞ্চায়েতের মাল গুদাম পাড়া এলাকায় একাধিক ঝুপড়ি বাড়ি ছিল। সেগুলি সবই রেলের জমিতে অবস্থিত। সম্প্রতি বাংলার আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়ে বাড়ি বানানো শুরু করেছিলেন বেশ কয়েকজন বাসিন্দা।

Awas: আবাসের টাকায় ঘর বানিয়েছিলেন, সেই ঘরই ভেঙে দিলেন সরকারি কর্তা-আধিকারিকরা! কারণ জানলে অবাক হবেন
আবাস যোজনার বাড়ি ভাঙল রেল
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি:  দীর্ঘদিন ধরেই ঝুপড়ি বাড়িতে থাকতেন। খড়পাতা দিয়ে চাল, প্লাস্টিকের ছাউনি তাতে। আবেদনের পর মিলেছিল আবাসের টাকা। প্রথম কিস্তির টাকাও পেয়েছিলেন। সেই টাকাই বাড়িও তৈরি করেছিলেন। কিন্তু  সুখ যেন সইল না। হাজির হলেন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকরা। বাড়ি ভেঙে দিলেন তাঁরা। আবাসের টাকায় তৈরি করা একের পর এক বাড়ি ভেঙে দিল রেল পুলিশ। উত্তেজনা ময়নাগুড়ি দোমহনি এলাকায়।

জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ি দোমহনি গ্রামপঞ্চায়েতের মাল গুদাম পাড়া এলাকায় একাধিক ঝুপড়ি বাড়ি ছিল। সেগুলি সবই রেলের জমিতে অবস্থিত। সম্প্রতি বাংলার আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়ে বাড়ি বানানো শুরু করেছিলেন বেশ কয়েকজন বাসিন্দা।

সোমবার সকালে মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। যান রেলের আধিকারিকরা, রেলপুলিশও সঙ্গে ছিল। একের পর এক বাড়ি ভেঙে দেন তাঁরা।  আর এর জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। উত্তেজিত জনতা পথ অবরোধ করেন। খবর পেয়ে যায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।

রেল আধিকারিক অমিত কুমার ভগত সাফ জানিয়ে দেন রেলের জমিতে কোনও নির্মাণ কাজ করা বেআইনি। তাই ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “পুরনো যা ছিল, তা আমরা কোনও কিছুই ভাঙিনি। আমাদের কাছে নির্দেশ ছিল, যা নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে, তা ভেঙে দিতে। রেলের জমিতে কিছু তৈরি করার জন্য কোনও টাকা তো অনুমোদনই হয় না। এটাই দেখার রয়েছে।” রেলের তরফে যে নোটিসও দেওয়া হয়নি, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “রেলের নিয়ম রয়েছে, পুরনো ,স্ট্রাকচারের জন্য নোটিস দিতে। কিন্তু নতুন কিছু তৈরি হলে তা ভাঙতে নোটিস দেওয়া হবে না।”

পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুবোধ দাস বলেন, “আমি হাতজোড় করে বলেছিলাম রেলের কর্তাদের কাছে। কিন্তু ওরা শোনেনি। আমি একটু সময়ও চেয়েছিলাম। সেটাও দিতে নারাজ।” কিন্তু রেলের জমিতে কি আবাসের টাকায় বাড়ি বানানো যায়? প্রশ্ন করতে তিনি বলেন, “আমি জানি না এটা আবাসের টাকায় কিনা। তবে ঘরে সাপ ঢুকছিল বলে, দুটো ইট দিয়ে গাঁথছিল।” এখনও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।

Next Article