
জলপাইগুড়ি: নাক-মুখ থেকে গলগল করে রক্ত ঝরছে। রুমাল, গামছা কোনও কিছু দিয়েই রক্ত বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। সোমবার এই ভয়াবহ ছবি দেখা গেল নাগরাকাটায়। গুরুতর ভাবে আহত হলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। আক্রান্ত হন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। এই ঘটনা মোটেই সাধারণ নয়। ফলত বেলা যত গড়িয়েছে ততই চড়েছে রাজনৈতিক পারদ। কিন্তু গ্রেফতারি থেকেছে শূন্য। অবশ্য, তৃণমূলের দাবি, সময় তো দিতে হবেই।
আর কিছুটা সময় পেরলেই পূর্ণ হবে ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু বিজেপি সাংসদকে ঘিরে মারের ঘটনায় অভিযুক্তদের কি পাকড়াও করা যাবে? রাজ্য পুলিশের দিকে সেই প্রশ্নই তুলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি সূত্রে খবর, গতকালের ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্য়ে কাউকেই পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ।
বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধির উপর হামলার ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই দায় ঠেলেছে গেরুয়া শিবির। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও সরব হতে দেখা গিয়েছে এই নিয়ে। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। মোদীর কথায়, ‘যে ভাবে আমাদের দলের কার্যকর্তা তথা একজন সাংসদ ও অন্যজন বিধায়ক বাংলার বিপর্যস্ত এলাকায় দুর্গতদের সাহায্য করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ঘটনা আসলে সে তৃণমূলের অসংবেদনশীলতা ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার করুণ পরিস্থিতির একটা উদাহরণ মাত্র।’
ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারির জন্য পুলিশকে ‘সময় বেঁধে’ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, কারা এই ঘটনাটা ঘটিয়েছে। পুলিশ আজ বিকালের মধ্য়ে কোনও ব্যবস্থা না নিলে আগামিকাল আমরা কলকাতা হাইকোর্টের ভ্য়াকেশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হব।’ অবশ্য শ্রীরামপুরের তৃণমূলের সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘পুলিশ আগে কোনটা করবে? সময় দিতে হবে তো। আপনারা কি চান আগে গ্রেফতারি নাকি বন্যা মোকাবিলা? কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ?’