
জলপাইগুড়ি: প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা টাকা নেওয়ার অভিযোগ। পরে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। কোচবিহারের দিনহাটা থানায় ধর্ষণের এই ঘটনায় নির্যাতিতাকে পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। বিচারপতি অমৃতা সিনহা কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিলেন, অবিলম্বে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। নির্যাতিত মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশ যে FIR করেছে, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত তা নিয়ে নির্যাতিতার বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
মহিলাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। নির্যাতিতাকে সরকারি স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা নেন। চাকরি না পেয়ে মহিলা টাকা ফেরত চান। অভিযোগ, গত ১৪ মার্চ মহিলাকে ইন্টারভিউ দিতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। মহিলাকে মারধরও করা হয়। মহিলার নগ্ন ছবি ও ভিডিয়ো তুলে রেখে ব্ল্যাকমেইল করেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা দিনহাটা মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে, নির্যাতিতার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত নেতার পরিবার পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে। মহিলার অভিযোগ, তাঁর পরিবারকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারপরই নিরাপত্তার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা মহিলাকে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেন।
নির্যাতিতার হয়ে মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নির্যাতিত মহিলাকে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ওই মহিলার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছিল। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতে মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আমরা তাঁর নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা পরবর্তী শুনানির জন্য অপেক্ষা করছি।”