Jalpaiguri: সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানের মধ্যেই আড়াই বছরের মেয়েটার সঙ্গে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! পাড়ার কাকুকে কড়া সাজা দিল আদালত

Nileswar Sanyal | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 18, 2025 | 9:22 PM

Jalpaiguri:পকসো আদালতের স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটর দেবাশিস দত্ত বলেন, নাবালিকা সব বলার পর অভিযুক্তর বাড়িতে যায় তাঁর পরিবার। সেখানে আবার অভিযুক্ত তাঁদের মারধর করে। অভিযুক্তের দাদা নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে বললে নাবালিকাকে বাড়ির কাছে নিয়ে এসে ছেড়ে দেয় সে।

Jalpaiguri: সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানের মধ্যেই আড়াই বছরের মেয়েটার সঙ্গে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! পাড়ার কাকুকে কড়া সাজা দিল আদালত
কড়া সাজা দিল আদালত
Image Credit source: Facebook

Follow Us

জলপাইগুড়ি: আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নিগ্রহ। প্রতিবাদ করায় নাবালিকার পরিবারকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রায় ১০ বছর পরে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। দেওয়া হল কঠোর সাজা। ১০ বছরের জেলের পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও বেশদিন খাটতে হবে জেল। ঠিক কী ঘটেছিল ১০ বছর আগে? 

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে ময়নাগুড়ির একটি সরস্বতী পুজো উপলক্ষে চলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে ঘটনার সূত্রপাত। মায়ের সঙ্গেই অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। তখন তাঁর বয়স আড়াই। তাঁদের পাশেই বসেছিল এক প্রতিবেশী। তিনি আবার হাসিমুখে বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে নেন। যদিও অনুষ্ঠানের মধ্যেই যে মেয়ের সঙ্গে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে যাচ্ছে কা টের পাননি নাবালিকার মা। অনুষ্ঠান শেষ হলে মেয়ে নিয়ে বাড়িও ফিরে আসেন। কিন্তু, বাড়িতে এসেই মেয়ে জানায় তাঁর নিম্নাঙ্গে খুব ব্যথা করছে। পাড়ার ওই প্রতিবেশী কাকু তার সঙ্গে কী করেছে তাও মাকে বলে। মেয়ের মুখে সব শুনে ঠিক কী ঘটে গিয়েছে তা বুঝতে দেরি হয়নি মায়ের। দায়ের হয় মামলা। সেই মামলার শুনানিই চলছিল এতদিন। অবশেষে হল সাজা ঘোষণা। সাজা দেন জলপাইগুড়ি পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু সুর।

পকসো আদালতের স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটর দেবাশিস দত্ত বলেন, নাবালিকা সব বলার পর অভিযুক্তর বাড়িতে যায় তাঁর পরিবার। সেখানে আবার অভিযুক্ত তাঁদের মারধর করে। অভিযুক্তের দাদা নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে বললে নাবালিকাকে বাড়ির কাছে নিয়ে এসে ছেড়ে দেয় সে। তারপরই নাবালিকার পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। এতদিন এই মামলায় মোট ৮ জন সাক্ষী দেন। সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর এদিন জলপাইগুড়ি পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু সুর অভিযুক্তকে ১০ বছরের জেলের সাজা শোনান। সঙ্গে জরিমানাও করেন। একইসঙ্গে নাবালিকাকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিগাল এইড সার্ভিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।