ধূপগুড়ি: ক্রেতা সেজে টোপ বন আধিকারিকের। ক্রেতা সেজে এক প্রাণির দেহাংশ পাচারকারিকে গ্রেফতার করল বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের আমবাড়ি রেঞ্জের বন আধিকারিক ও তার টিম। জানা গিয়েছে, আমরাড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার আলমগির হকের কাছে খবর আসে ডুয়ার্সের একটি পাচারকারিদের টিম প্যাঙ্গোলিনের আঁশ সহ চামড়া বিক্রি করতে চায়। খবর পেয়ে ক্রেতা সেজে টোপ দেন আধিকারিক।
বুধবার রাতে পাচারকারীদের টিম ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ি এলাকায় প্যাঙ্গোলিনের চামড়া হস্তান্তর করবার কথা ছিল। সেইমতো রেঞ্জ অফিসের রেঞ্জার আলমগির হক তাঁর টিম নিয়ে ওদলাবাড়িতে ঘাঁটি গেঁড়ে বসেছিল। সন্ধ্যা সাতটা নাগাত তিন ব্যক্তি বাইক নিয়ে যান।
এরপর এক জন এসে ব্যাগ থেকে প্যাঙ্গোলিনের চামড়া বের করতেই তাঁকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন বনকর্মীরা। সুযোগ বুঝে, বাকি দু’জন পালিয়ে যায়। ধৃতকে রাতভর জেরা করার পর বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে।
রেঞ্জ অফিসার আলমগির হক বলেন, “আমাদের কাছে খবর ছিল ডুয়ার্সের এক বাসিন্দা বন্যপ্রাণী দেহাংশ পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। রাতে ক্রেতা সেজে হাতে নাতে ধরে ফেলা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বাইকটিকে। আগেই প্যাঙ্গোলিনের চামড়া দু’লক্ষ টাকায় দর দাম ঠিক হয়েছিল।”
সেই মতো নিয়ে আসার পরেই ধরে ফেলা হয়। দু’জন পালিয়ে যায়। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম গোপন রাখা হয়েছে। ধৃতকে জেরা করে জানবার চেষ্টা করা হচ্ছে, প্যাঙ্গোলিনের মাংস কোথায় বিক্রি করেছে। আসলে কিছু মানুষের ধারনা রয়েছে, এই নিরীহ বন্যপ্রাণীর মাংস ও আঁশ দিয়ে ওষুধ তৈরি হয়। এই ভ্রান্ত ধারনার শিকার হয়ে এই প্রানীগুলি বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে। পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পলাতকদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।