জলপাইগুড়ি: গত দশদিন ধরে চুপচাপ শুয়ে থাকত ষাঁড়টি। কখনও আবার এ পাশ ও পাশ করত। দেখে মনে হচ্ছিল কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। এরপরই স্থানীয় পশুপ্রেমী সংস্থাকে খবর দেওয়া হয়। আনা হয় চিকিৎসকও। পরীক্ষানিরীক্ষা করে তাঁদের মনে হয় ভোলা মহেশ্বরের এই পরম ভক্ত বুঝি ধাতব কিছু গিলে ফেলেছে। তাতেই এই অস্বস্তি। মঙ্গলবার সকালে তা পরীক্ষায় আনা হল মেটাল ডিটেক্টর। ষাঁড়টির সারা শরীরে সে যন্ত্র বুলিয়ে দেখা হল কোথাও কিছু আছে কি না। ধূপগুড়ির ঘটনা।
ধূপগুড়ির মোরঙ্গা চৌপথী। সেখানেই ঘুরে বেড়ায় ইয়াব্বড় এই ষণ্ড। এর ওর দোকানের সামনে দাঁড়ায়। কেউ কিছু দিলে মুখ বাড়িয়ে খেয়ে নেয়। মোটের উপর নিরুপদ্রবই সে। তবে এক জায়গায় বসে থাকার বান্দা নয়। এদিক ওদিক ঘুর ঘুর লেগেই থাকে। কিন্তু দিন দশেক ধরে কেমন একটা নেতিয়ে শুয়ে থাকে সে। ঘোরাঘুরিও কমেছে। দেখেই মনে হয় কোনও একটা অস্বস্তি শরীরের ভিতরে। টানা এতদিন ধরে এই অবস্থা দেখে স্থানীয়রাই এলাকার এক পশুপ্রেমী সংস্থাকে বিষয়টি জানায়।
সংস্থার সদস্যরা চিকিৎসককে সঙ্গে নিয়ে এসে পরীক্ষানিরীক্ষা করে বুঝতে পারে ষাঁড়টি খাবারের সঙ্গে কোনও ধাতব কিছু গিলে থাকতে পারে। সে কারণেই তার গলা ও নাভির অংশ ফুলে গিয়েছে। তবে শরীরের ঠিক কোন অংশে সেই ধাতব দ্রব্যটি আটকে রয়েছে বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে না। এরপরই স্থানীয় থানার সঙ্গে কথা বলে মেটাল ডিটেক্টর আনানো হয়।
ষাঁড়টির গোটা শরীরে সে যন্ত্র বুলিয়ে দেখা হয় কোথাও কিছু রয়েছে কি না। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। জানা গিয়েছে, আপাতত ষাঁড়টিকে খোঁয়াড়ে রাখা হবে। অন্য পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী চিকিৎসা হবে।