জলপাইগুড়ি : সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। এবার আসরে নেমে পড়ল আন্দোলনকারীরা (DA Agitation)। মহার্ঘভাতার দাবিতে এবার ডিজিটাল স্ট্রাইক (Digital strike) শুরু করে দিল যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। ১৮ মার্চ থেকেই যে আন্দোলনকারীরা সব ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন চা জানানো হয়েছিল। এই ডিজিটাল ধর্মঘটের সমর্থনে রাজ্য সরকারের সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (Whatsapp Group) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। এবার বাস্তবে তার প্রতিফলন পড়তে শুরু করল।
সংগঠনের সদস্যরা একত্রিত হয়ে একের পর এর সরকারি নির্দেশিকা পাঠানোর হোয়াটস এপ গ্রুপ থেকে লেফট করে গেলেন। শনিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমায়েত করেন যৌথ মঞ্চের অধীনে থাকা বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। একযোগে বিভিন্ন সরকারি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও লেফট করেন। যৌথ মঞ্চের সদস্যদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা প্রদান করতে হবে। বিভিন্ন স্কুলে থাকা চুক্তি ভিত্তির কর্মীদের স্থায়ী করতে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের শূন্য পদ গুলি অবিলম্বে পূরন করতে হবে।
যৌথ মঞ্চের সদস্য রানা বিশ্বশর্মা, জিয়ারুল হকেরা জানান, কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা প্রদান, সমস্ত শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ সহ একগুচ্ছ দাবিকে সামনে রেখে এদিন তাঁরা ডিজিটাল স্ট্রাইকে সামিল হলেন। এদিন থেকে তাঁরা শিক্ষা দফতরের যে সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল সেখান থেকে লেফট করে গেলেন। পাশাপাশি এও জানান টেলিফোনে পাঠানো কোনও নির্দেশ তাঁরা মানবেন না। পাঠাতে হবে হার্ড কপি। তবে, তাঁরা তাঁদের স্কুলে পড়ানো সহ শিক্ষা সংক্রান্ত যা কাজকর্ম আছে তা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই) শ্যামল চন্দ্র রায় টেলিফোনে জানান, কাজ যাতে দ্রুত হয়ে সে কারণেই সমস্ত সরকারি নির্দেশিকা সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো হয়। শিক্ষকেরা গ্রুপ লেফট করায় সেই কাজ অনেকটা ব্যাহত হবে। আমি যৌথ মঞ্চের দাবিগুলি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে পাঠাব। তারা নিশ্চয়ই বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে দেখবেন।