জলপাইগুড়ি : গুলিবিদ্ধ মৃত হাতির দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের শালুগাড়া রেঞ্জের সরস্বতীপুর এলাকায়। সেনাবাহিনীর (Indian Army) ফায়ারিং রেঞ্জ থেকে ছোড়া গুলি থেকেই কি আহত হয়ে বুনো হাতিটি মারা (Elephant Death) গিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ কর্মী শ্যামা প্রসাদ পাণ্ডে। উঠেছে মহানন্দা-আপাল চাঁদ এলিফ্যান্ট করিডরে ফায়ারিং রেঞ্জ বন্ধের দাবি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা ১০ টা নাগাদ বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের সালুগাড়া রেঞ্জের সরস্বতীপুর এলাকার মানুষদের নজরে পড়ে একটি মৃত দাঁতাল হাতির দেহ পড়ে আছে। গায়ে প্রচুর গুলির দাগ। এই দৃশ্য দেখা মাত্রই বনদফতরে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে বৈকুন্ঠপুর ডিভিশনের সালুগাড়া রেঞ্জের অধীনে থাকা সরস্বতীপুর বিট অফিসের বন কর্মীরা। খবর চাউর হতেই মৃত হাতিটিকে দেখতে ওই এলাকায় রীতিমতো ভিড় জমে যায়। পরবর্তীতে বনকর্মীরা গ্রামবাসীর সুরক্ষার কথা চিন্তা করে জঙ্গল থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়। কীভাবে মারা গেল হাতিটি তার তদন্ত শুরু করেছে বনদফতর।
স্থানীয় বাসিন্দা সোমরা ওড়াও, সঞ্জয় ছেত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁরা জঙ্গলে গিয়েছিলেন। সেখানেই হাতির মৃতদেহ দেখতে পেয়ে বনকর্মীদের খবর দিয়েছেন। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ কর্মী শ্যামা প্রসাদ পাণ্ডে। রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে টেলিফোনে তিনি জানিয়েছেন, “মহানন্দা-আপালচাঁদ এলিফ্যান্ট করিডরে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জ। এখানে তাঁরা ফায়ারিং প্র্যাকটিস করে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই রেঞ্জ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। হাতি আমাদের জাতীয় সম্পদ। এইভাবে বেঘোরে গুলি খেয়ে মারা গেল। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা জানতে পেরেছি দুটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছিল। যার মধ্যে একটি মারা গেলো। আরও একটি জঙ্গলে রয়েছে।”
ঘটনায় ডিএফও বৈকন্ঠপুর হরি কৃষ্ণান জানিয়েছেন, তিস্তা পারে থাকা আর্মি ফায়ারিং রেঞ্জে গোলাগুলি ছোড়া হয়েছে। হাতির গায়ে গুলি লাগার চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে আগামীকাল ময়নাতদন্ত হবে তারপর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।