Fake School: সরকারি কমিউনিটি হলে নাকি CBSE-র স্কুল! আরও এক দুর্নীতির পর্দাফাঁস

Nileswar Sanyal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 02, 2023 | 1:06 PM

Fake School: এখনও  সেই স্কুল চলছে। 'SARADA SISHU TIRTHA'।  CBSE অনুমোদিত, এই মর্মেও সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে। স্কুলের মাইনেও মোটা টাকা। স্কুলের মালিক হানিফ চৌধুরী? হানিফের বাড়ি নিউ জলপাইগুড়ি থানার অন্তর্গত গেট বাজার এলাকার বাসিন্দা।

Fake School: সরকারি কমিউনিটি হলে নাকি CBSE-র স্কুল! আরও এক দুর্নীতির পর্দাফাঁস
এই স্কুল ঘিরেই বিতর্ক
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি:  সরকারি ভবন। কিন্তু সেখানেই দেদার চলছে নাকি CBSE বোর্ডের স্কুল। তাও আবার বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে তিস্তা পাড়ের এক স্কুল ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধল। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের তিস্তা পাড়ের মান্তাদারি গ্রামপঞ্চায়েতে। সেই গ্রামেই ১৮ নং টাকিমারি চড় এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে দীর্ঘদিন আগে একটি কমিউনিটি হল তৈরি করা হয়েছিল। অভিযোগ সেই কমিউনিটি হল দখল করে সেখানে বিনা অনুমতিতে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল চালু করা হয়।

এখনও  সেই স্কুল চলছে। ‘SARADA SISHU TIRTHA’।  CBSE অনুমোদিত, এই মর্মেও সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে। স্কুলের মাইনেও মোটা টাকা। স্কুলের মালিক হানিফ চৌধুরী? হানিফের বাড়ি নিউ জলপাইগুড়ি থানার অন্তর্গত গেট বাজার এলাকার বাসিন্দা। বছর তিরিশের এক যুবক হানিফ। কিন্তু সরকারি জায়গায় বেসরকারি স্কুল থাকাটাই যে বেআইনি, প্রশ্ন সেখানেই। অভিযোগ, এই স্কুলের বৈধ কোনও কাগজপত্রই নেই। প্রশাসন নাকের ডগায় কীভাবে বিনা অনুমতিতে এই স্কুল চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

সুব্রত রায়, রীতা সরকার নামে অভিভাবকেরা বলেন, ভর্তি হতে প্রায় ২ হাজার টাকা দিতে হয়। মাসে ৫০০ টাকা করে বেতন।  কিন্তু যে এলাকায় স্কুল, সেখানে বাসিন্দাদের কাছে এই পাঁচশো টাকাই যথেষ্ট বেশি। এক বছরের বেশি সময় ধরে এই স্কুল চলছে।

স্কুলে রয়েছেন চার-পাঁচ জন শিক্ষিকাও। তাঁদেরই একজন মালতী বিশ্বাস বলেন, তিনি ৩ মাস হল এই স্কুলে জয়েন করেছেন। তাঁর বক্তব্য,  এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা মালিক হানিফ চৌধুরী। তিনি স্থানীয় প্রধানের অনুমতি নিয়ে এই স্কুল চালাচ্ছেন।

যদিও মান্তাদাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অর্চনা রায় বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আপনাদের থেকে শুনতে পেলাম। স্কুলটি অবৈধ। সরকারি যায়গা দখল করে বে সরকারি স্কুল চালানো সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

হানিফের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল TV9 বাংলা। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। প্রাইমারি স্কুলের ডিআই শ্যামলচন্দ্র রায় বলেন, “আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানা নেই। খবর নিয়ে দেখতে হবে। NOC ছাড়া তো এভাবে স্কুল খোলা যায় না। সেটা দেখা হচ্ছে।”

 

Next Article