Fire: ভরসন্ধ্যায় হাসপাতালে আগুন, ভয়ে চিৎকার করে চলেছেন রোগীর আত্মীয়রা…
Jalpaiguri Super Speciality Hospital: স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সন্ধ্যা ৭টার পর হাসপাতালের থার্ড ফ্লোরের জানালার পাশে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর তারা নিরাপত্তা কর্মীদের খবর দেন। পরে হাসপাতালের কর্মীরা আগুন নিভিয়ে দেয়। তবে যাঁদের রোগী হাসপাতালে ভর্তি, তাঁরা ভয়ে আতঙ্কে কী করবেন বুঝতেই পারছিলেন না।

জলপাইগুড়ি: ভরসন্ধ্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ভবনের বাইরের দিকে আচমকাই আগুন জ্বলতে দেখা যায়। ওয়ার্ডের জানলাগুলি সেই আগুন থেকে সামান্য দূরে। নীচে আবার পর পর এসি মেশিন। শুক্রবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সন্ধ্যা ৭টার পর হাসপাতালের থার্ড ফ্লোরের জানালার পাশে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর তারা নিরাপত্তা কর্মীদের খবর দেন। পরে হাসপাতালের কর্মীরা আগুন নিভিয়ে দেয়। তবে যাঁদের রোগী হাসপাতালে ভর্তি, তাঁরা ভয়ে আতঙ্কে কী করবেন বুঝতেই পারছিলেন না।
চিৎকার করতে থাকেন হাসপাতালের নীচে থাকা লোকজন। চোখের সামনে আগুন জ্বলতে দেখে ভয়ে ছুটোছুটি শুরু করেন বাড়ির লোকেরা। কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় অল্পের জন্য বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।
শ্যামল রায়ের মা আইসিইউয়ে ভর্তি। তিনি সাততলায় ছিলেন। বলেন, “হঠাৎ শুনি আগুন লেগেছে। তারপরই নেমে আসি কী পরিস্থিতি দেখতে। যদিও এসে দেখি আগুন নিভে গিয়েছে।” এ বিষয়ে হাসপাতালেরই অগ্নি নির্বাপণ কর্মী রানা দাস বলেন, “আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। কোনও ক্ষতি হয়নি।”
এমএসভিপি কল্যান খাঁ জানান, তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, কেউ ধূমপান করে জানলা দিয়ে বিড়ি বা সিগারেটের টুকরো ফেলে দেয়। আর জানালায় ঝুলে ছিল কাপড়ের টুকরো। তাতেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত হবে বলে জানান তিনি।
